Bankura: হাসপাতালের জায়গা দখল করার অভিযোগ, পাঁচিল দিতে যেতেই…

Bankura: বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এতদিন কোনও সীমানা পাঁচিল ছিল না। ফলে হাসপাতাল চত্বর কার্যত পরিণত হয়েছিল গবাদি পশুর অবাধ চারণভূমিতে। সন্ধে হলেই হাসপাতাল চত্বর পরিণত হত সমাজ বিরোধীদের আড্ডাস্থলে।

Bankura: হাসপাতালের জায়গা দখল করার অভিযোগ, পাঁচিল দিতে যেতেই...
জবরদখল করার অভিযোগ Image Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

May 11, 2025 | 1:00 PM

বাঁকুড়া: হাসপাতালের জায়গা জবরদখলমুক্ত করার জন্য আগেই স্থানীয়দের নোটিস দিয়েছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই জবরদখলকারীদের বাধায় আটকে গেল হাসপাতালের সীমানা পাঁচিল তৈরির কাজ। আপাতত ওই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়কও।

বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এতদিন কোনও সীমানা পাঁচিল ছিল না। ফলে হাসপাতাল চত্বর কার্যত পরিণত হয়েছিল গবাদি পশুর অবাধ চারণভূমিতে। সন্ধে হলেই হাসপাতাল চত্বর পরিণত হত সমাজ বিরোধীদের আড্ডাস্থলে। হাসপাতালের নিজস্ব জায়গার একটা বড় অংশ দখল করে রীতিমত ঘর বাড়িও বানিয়ে ফেলেছিল জবরদখলকারীরা।

সম্প্রতি, এই হাসপাতাল পাকা সীমানা পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলার উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ হওয়ার পর কংক্রিটের সীমানা দিয়ে পাঁচিল তৈরির কাজ শুরু হয়। নোটিস দিয়ে দ্রুত হাসপাতালের জায়গা জবরদখলমুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বর জবরদখলমুক্ত হওয়া তো দূর, এবার সীমানা পাঁচিল নির্মাণের কাজই বন্ধ করে দিল জবরদখলকারীরা।

তাঁদের দাবি প্রায় ৭০ বছর ধরে ওই জায়গায় বসবাস করে আসছেন তাঁরা। পুনর্বাসন না দিলে নিজেদের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ স্থানীয়রা। এলাকার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ থেকে শুরু করে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। পরে বিধায়ক বলেন, “সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপাতত সীমানা দিয়ে পাঁচিলের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। পরে জেলা শাসকের মধ্যস্থতায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা রিয়া মাদ্রাজী বলেন, “আমরা ৭০ থেকে ৮০ বছর থেকে বাস করছি। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে পাঁচিল তুলে দেব। আমাদের পুর্নবাসন দিক। নয়ত আমরা যাব কোথায়।”