বাঁকুড়া: “নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করার কোনও অধিকার নেই সুভাষ সরকারের। চাইলে স্ক্রুটিনির দিনই তাঁকে ফেলে দিতে পারতাম।” ২০০৫ সালে বাঁকুড়া জেলা আদালতের একটি বিদ্যুৎ চুরির মামলার প্রসঙ্গ টেনে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বাঁকুড়া লোকসভার তৃনমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার তালডাংড়ার একটি সভা থেকে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “আমি দয়া করে তাঁকে প্রতিদ্বন্দিতা করতে দিয়েছি।”
মঙ্গলবার বাঁকুড়ার তালডাংড়ায় বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের সমর্থনে সভা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুভাষ সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী অরূপ চক্রবর্তীকে ‘কয়লা চক্রবর্তী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। বুধবার সেই সভারই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। সেই সভা থেকে বাঁকুড়ার তৃনমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী পাল্টা সুভাষ সরকার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন।
অরূপ চক্রবর্তী ২০০৫ সালে একটি বিদ্যুৎ চুরির মামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “২০০৫ সালে তৎকালীন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁকুড়া আদালতে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন সুভাষ সরকার ও তাঁর ভাই। পরে তাঁরা জামিন নেন।” অরূপ চক্রবর্তীর দাবি, কোনও মামলার আসামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারেন না। সুভাষ সরকারের প্রতিদ্বন্দিতা করার কোনো অধিকার নেই। আমি দয়া করে তাঁকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিয়েছি। আমি চাইলে স্ক্রুটিনির দিনই তাঁকে লাথ মেরে ফেলে দিতে পারতাম।
এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গ টেনে অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বিরোধী দলনেতা আমাকে কয়লা মাফিয়া বলেছেন। শুভেন্দু অধিকারী পরিবহন মন্ত্রী থাকাকালীন এক হাজার কয়লা বোঝাই ট্রাক আটক করা হয়েছিল।” অরূপ চক্রবর্তীর এই মন্তব্যকে গুরুত্বই দিতে চাননি বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। তাঁর দাবি, “তৃণমূল প্রার্থী সব অবান্তর ও মিথ্যা কথা বলছেন।”