বাঁকুড়া: ফের থানার পুলিশ লক আপে আত্মহত্যার চেষ্টা করল চুরির দায়ে গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্ত। সম্প্রতি গঙ্গাজলঘাটি থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক বন্দি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই বাঁকুড়ার মেজিয়া থানায় পুলিশ লক আপে এক বন্দি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। যদিও সিসিটিভি-তে ধরা পড়ে গোটা বিষয়টি। তড়িঘড়ি ওই বন্দিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে সিসিইউ- তে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার চুরির অভিযোগে মেজিয়া পুলিশ গ্রেফতার করে স্থানীয় জেমুয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজারাম প্রামাণিককে। পুলিশ লকআপে থাকাকালীন সোমবার সন্ধ্যায় নিজের প্যান্টের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজারাম। সেই ঘটনা সিসিটিভিতে নজরে আসে কর্তব্যরত পুলিশের। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে সিসিইউ ইউনিটে চিকিৎসা চলছে রাজারামের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বন্দির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ লক আপে নজরদারির মধ্যে কেন বারবার এমন ঘটনা ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এই ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেড কোয়ার্টার। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ বিবেক বার্মা বলেন, “লক আপ থেকে বাথরুমে গিয়েছিলেন। প্যান্টের দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আমাদের কর্মীরা সিসিটিভিতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করেন। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”