
বাঁকুড়া: জঙ্গল থেকে চিৎকার করতে করতে বেরিয়ে এলেন গৃহবধূ। বাড়িতে ঢুকেই অজ্ঞান। কথা বেরচ্ছো না মুখ দিয়ে। জ্ঞান ফেরাতে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হল তাঁকে। তারপর জানা গেল, চোখের সামনে বাঘ দেখে ফিরে এসেছেন তিনি! বন দফতর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে। আপাতত সুস্থ আছেন তিনি। তবে চোখের সামনে যে বিরাট চেহারা দেখে এসেছেন, তা ভুলতে পারছেন না। এখন প্রশ্ন হল, ঝাড়খণ্ড থেকে বাঘ কি আবার এ রাজ্যে ফিরে এসেছে?
বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের ডুবুখানা গ্রামের গৃহবধূ রাধিকা মান্ডি। হঠাৎই জঙ্গল থেকে ছুটে বাড়িতে ফিরেই জ্ঞান হারান তিনি। গৃহবধূর দাবি, জঙ্গলে বাঘের একেবারে সামনে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সত্যিই ওই গৃহবধূ বাঘ দেখেছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও এলাকার মানুষকে একা জঙ্গলে যেতে নিষেধ করে প্রচার চালাচ্ছে বন দফতর। তাহলে কি আবারও ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে ফিরল বাঘ?
বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের ডুবুখানা গ্রামের গৃহবধূ রাধিকা মান্ডি। হঠাৎই জঙ্গল থেকে ছুটে বাড়িতে ফিরেই জ্ঞান হারান তিনি। গৃহবধূর দাবি, জঙ্গলে বাঘের একেবারে সামনে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। সত্যিই ওই গৃহবধূ বাঘ দেখেছেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত না হলেও এলাকার মানুষকে একা জঙ্গলে যেতে নিষেধ করে প্রচার চালাচ্ছে বন দফতর। এলাকায় বসানো হল ট্র্যাপ ক্যামেরাও।
বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গলে জিনাত ধরা পড়ার পর ঝাড়খণ্ড থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ দু দফায় এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে আসে। প্রায় ১২ দিন কাটিয়ে চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই সে ফিরে যায় ঝাড়খণ্ডের দলমা পাহাড়ে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের বাঘের আতঙ্ক চেপে বসে জঙ্গলমহলে।
রাধিকার দাবি, তিনি জঙ্গলে একেবারে বাঘের মুখোমুখি এসে পড়েছিলেন। জন্তুটি যে বাঘই সে ব্যাপারে নিশ্চিত তিনি। রাধিকা মান্ডির বাঘের মুখে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন জ্বালিয়ে গ্রামে পাহারা দিতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাঘের আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় রুজি রুটি নিয়েও চূড়ান্ত আশঙ্কায় স্থানীয় জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা।