
বাঁকুড়া: দীর্ঘ এক মাস ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের একমাত্র এক্স রে যন্ত্র। বাধ্য হয়ে সামান্য এক্স রে করাতে মোটা অঙ্কের গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে বেসরকারি ল্যাবে ছুটতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিজনদের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারেবারে জানিয়েও লাভ হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য মেরামতির বরাত প্রাপ্ত সংস্থার ঘাড়ে দায় ঠেলে পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ঘটনা বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের।
চিকিৎসার ব্যাপারে বাঁকুড়ার কোতুলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের উপর শুধু কোতুলপুর ব্লকই নয়, পার্শ্ববর্তী জয়পুর এমনকি ইন্দাস ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষও নির্ভরশীল। প্রতিদিন শ’য়ে শ’য়ে রোগী এই হাসপাতালে ছুটে আসেন চিকিৎসার আশায়। কিন্তু গত ২৪ মার্চ আচমকাই হাসপাতালের একমাত্র এক্স রে যন্ত্রটি বিকল হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের রোগী ও রোগীর পরিজনদের সামান্য এক্স রে করাতে ছুটতে হচ্ছে স্থানীয় বেসরকারি ল্যাবগুলিতে।
সুযোগ বুঝে এক্স রে-র জন্য ইচ্ছেমতো দর হাঁকাতে শুরু করেছে ল্যাবগুলিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এক্স রে করাতে স্থানীয় ল্যাবগুলি রোগী ও রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অবিলম্বে এই হয়রানি বন্ধের দাবিতে বারংবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন রোগীর পরিজনেরা। কিন্তু অভিযোগ, সে কথায় কান দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এক্স রে যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও তা মেরামতির কোনো উদ্যোগ নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ এক্স রে যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ার ঘটনা জেলা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। কিন্তু মেরামতির বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার গড়িমসির কারনেই এখনও তা মেরামত করা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষের আশ্বাস আগামী সাত দিনের মধ্যে যন্ত্র মেরামত করে সমস্যা সমাধান করা হবে।