বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় চপ ভেজে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন বিজেপি নিলাদ্রী শেখর দানা (Niladri Sekhar Dana)। এরপর ফের একবার বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার এই বিজেপি বিধায়ক। পুরসভায় হাজির হয়ে পুর প্রশাসক তথা তৃণমূল নেত্রীর হাতে ফুল মিষ্টি তুলে দিলেন তিনি। পাশাপাশি পুর প্রশাসকের ঢালাও প্রশংসাও করলেন। যার জেরে ফের রাজ্য-রাজনীতিতে শুরু বিতর্ক।
সোমবার সাত সকালেই বাঁকুড়া পুরসভায় হাজির হয়ে পুর প্রশাসকের হাতে ফুল ও মিষ্টি তুলে দেন বিজেপি বিধায়ক। পরে গোটা বিষয়টি সৌজন্য সাক্ষাৎ দাবি করেন তিনি। যদিও তাঁর মুখে তৃণমূল নেত্রী অলকা সেন মজুমদারের প্রশংসাকে রীতিমত ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূলে আসতে চাইলে তাঁকে স্বাগত এমনটাও জানালেন পুর প্রশাসক।
দিন কয়েক আগেই দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চিঠি দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। তারপর থেকে তাঁর একের পর এক কর্মকাণ্ড বিতর্ক তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে। এবার বিজেপি বিধায়কের আরেক কর্মকাণ্ড নতুন করে বিতর্ক তৈরি করল। আজ সকাল-সকাল এভাবে পুরসভায় হাজির হয়ে ফুলের তোড়া ও মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেওয়া নিয়ে রীতিমত জলঘোলা তৈরি করেন বিজেপি বিধায়ক।
জানা গিয়েছে, শুধু অলকা সেন মজুমদারই নয় পাশাপাশি তিনি দেখা করেন আরেক পুর প্রশাসক বোর্ডের সদস্য তথা তৃণমূলের শিক্ষক নেতা গৌতম দাসের সঙ্গেও। বিধায়কের বক্তব্য নিজের এলাকায় পুরসভার দুটি কাজের তদরকি করতেই নাকি এদিন তিনি পুরসভায় গিয়েছিলেন। তবে তাঁর মুখে পুর প্রশাসকের প্রশংসা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিধায়ক নিজ মুখে বিষয়টিকে মোটেই ইঙ্গিতবাহী নয় বলে দাবি করলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহল বিষয়টিকে যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন।
এই বিষয়ে নীলাদ্রি শেখর দানা বলেন, “দীর্ঘ ছয় বছর আমি কাজ করেছি। অনেক সময় সহযোগীতা পেলেও অসহযোগীতাও পেয়েছি। এখানে অনেকেই আমার চেনা। আজকে সকালে এসেছিলাম দুটি প্রোজক্ট নিয়ে। সৌজন্য বিনিময় করে গেলাম।” অন্যদিকে, তৃণমূল নেত্রী অলকা সেন মজুমদারের বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন। সেই কারণে অনেক বিজেপি এমএলরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই আশার ইঙ্গিত আমরা পাচ্ছি। তৃণমূলের দরজা সবসময়ের জন্য খোলা রয়েছে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন যোজ্ঞে তিনি সামিল হোন আমরা সবসময় চাইব।”