BJP Leader: পদের লোভ দেখিয়ে দলীয় নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে

Hirak Mukherjee | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jan 28, 2024 | 5:08 PM

বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভায় বিজেপির পরিচিত মুখ ছিলেন মৃত নেত্রী। দলের মহিলা মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে সোনামুখী পুরসভা নির্বাচনে দল তাঁকে একটি ওয়ার্ডে প্রার্থীও করে। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নেত্রী।

BJP Leader: পদের লোভ দেখিয়ে দলীয় নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Twitter

Follow Us

সোনামুখী: এক বিজেপি নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হল বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী এলাকায়। মৃত বিজেপি নেত্রীকে পদের লোভ দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ ও শেষমেশ তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপিরই এক নেতার বিরুদ্ধে। নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতার কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। লোকসভার নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।

বাঁকুড়ার সোনামুখী পুরসভায় বিজেপির পরিচিত মুখ ছিলেন মৃত নেত্রী। দলের মহিলা মোর্চার বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদেও ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে সোনামুখী পুরসভা নির্বাচনে দল তাঁকে একটি ওয়ার্ডে প্রার্থীও করে। গত ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই নেত্রী। এর পরই নেত্রীর পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় বিজেপির এক জেলা নেতার বিরুদ্ধে। প্রথমে পদের লোভ দেখিয়ে ওই নেত্রীকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। তারপর নগ্ন ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিনের পর দিন তাঁকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সোনামুখী থানায় ওই নেত্রী লিখিত অভিযোগও জানিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

পরিবারের দাবি, অভিযোগের পরও পুলিশ অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হয়েছে ওই নেত্রীকে। নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে ফের সরব হয়েছে মৃতার পরিবার। ধর্ষণের পাশাপাশি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। অভিযুক্ত নেতা পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পলাতক থাকায় বক্তব্য মেলেনি অভিযুক্তর।

তবে একদিকে নেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু অন্যদিকে এই ঘটনার পর দলেরই এক জেলা নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ সামনে আসায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবিরের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, আইন আইনের পথে চলবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে।

Next Article