Bankura: হাসপাতালে বসে কেঁদে ভাসাচ্ছেন BLO, দেখতে হাজির তৃণমূল নেতা
Bankura: কী করে কাজ সম্পূর্ণ করবেন তা নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্ত ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিকে বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে হাজির হন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত। তিনি এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছেন বিজেপির কাঁধে। তাঁর দাবি নির্বাচন কমিশন বিজেপির কমিশনে পরিণত হয়েছে।

বাঁকুড়া: রাজ্য জুড়ে বিএলও-দের অভিযোগের পাহাড় জমেছে। ডিজিটাইজেশন শুরু হওয়ার পর থেকে কাজ নিয়ে আরও অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক ব্লক লেভেল অফিসার (BLO) অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে কাজ করার সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক বিএলও। বুকে ব্যথা নিয়ে ছুটলেন হাসপাতালে। হাসপাতালে বসে কেঁদে ভাসালেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এনুমারেশান ফর্ম সংগ্রহ করছিলেন বিএলও সবিতা সর্দার। সেইসময় আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তড়িঘড়ি ওই বিএলও-কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখানে বসে কাজের চাপের কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন বিএলও। তাঁর দাবি, অসুস্থ অবস্থাতেও সারা রাত আপলোড করার কাজ করতে হয় আর দিনের বেলা বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফর্ম বিলি করতে হয়।
এই ঘটনায় শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল এই পরিস্থিতির যাবতীয় দায় বিজেপির কাঁধে চাপিয়েছে আর পাল্ট দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের লোকজনের চাপ আর হুমকির মুখে পড়েই বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের নারায়ণপুর ২২৪ নম্বর বুথের ঘটনা। পেশায় আইসিডিএস সুপারভাইজার সবিতা সর্দার বিএলও হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন। ওই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১০৯৮ জন। কর্মসূত্রে নারায়ণপুর এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকেন ওই বিএলও। বাড়িতে রয়েছে তাঁর শিশু সন্তান। এলাকার মানুষকে সেভাবে তিনি চেনেন না। তাছাড়া পারিবারিক সমস্যাও রয়েছে। এই সব কারণে এসআইআরের দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই তিনি আপত্তি জানিয়েছিলেন। এই কাজ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রশাসনিক দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই লাভ হয়নি।
পাত্রসায়ের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা চলছে তাঁর। কী করে কাজ সম্পূর্ণ করবেন তা নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্ত ধরা পড়েছে তাঁর গলায়। এদিকে বিএলও অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে হাজির হন তৃণমূলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুব্রত দত্ত। তিনি এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপিয়েছেন বিজেপির কাঁধে। তাঁর দাবি নির্বাচন কমিশন বিজেপির কমিশনে পরিণত হয়েছে। বিজেপির নির্দেশেই ২ বছরের কাজ এক মাসে করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। অতিরিক্ত সেই কাজের চাপেই এভাবে বিএলও-রা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী বলেন, “নিশ্চয় বিএলও-কে হুমকি দেওয়া হয়েছে। যতজন বিএলও অসুস্থ হচ্ছে, তার জন্য দায়ী তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা।“
