বাঁকুড়া : এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার কোটালদিঘি এলাকায়। সহদেব খাঁ নামে মৃত ব্যক্তি বিজেপির কর্মী এবং তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি তুলে সোমবার সন্ধ্যায় পৃথক পৃথক ভাবে বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুরে পথে নামে বিজেপি। তবে প্রাথমিক ভাবে খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলেই দাবি পুলিশের। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন সহদেব খাঁ। যদিও পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার পাথরচটি গ্রামের কবরস্থানের পাশের একটি গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে কোতুলপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। মৃত ব্যাক্তির নাম সহদেব খাঁ। তাঁর বাড়ি কোতুলপুর থানার কোটালদিঘি গ্রামে। গোটা ঘটনায় ইতিমধ্যেই একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল খুঁটিয়ে পরীক্ষা করার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফিও করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের হাতে যে তথ্য এসেছে তাতে মনে করা হচ্ছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার জেরেই সম্ভবত ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তবে পুলিশের এই আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে নারাজ বিজেপি। বিজেপির দাবি সহদেব খাঁ কোতুলপুর বিধানসভার গোপালপুর ঢাক পাড়ার ১০৪ নম্বর বুথের সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ছাড়া ছিলেন। সম্প্রতি তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। আর তারপরই তাঁকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।
অবিলম্বে এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে ও দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে এদিন সন্ধ্যায় বাঁকুড়া শহরের কেরানিবাঁধে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিষ্ণুপুরেও ঘটনার প্রতিবাদে এদিন মোমবাতি মিছিল করা হয়।