Bus Accident: কোলের বাচ্চা নিয়ে পড়লেন তরুণী, শালতোড়ায় বাস উল্টে কারও ফাটল মাথা, কারও ভাঙল হাত
Bankura: বাসের স্টিয়ারিং বিকল হয়ে পড়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন একাংশ। দুপুরের বাস। যাত্রীরা নিজেদের মতো কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বাঁকুড়া: যাত্রীবাসী বাসের ধাক্কা কালভার্টে। বড়সড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলেন যাত্রীরা। তবে জনা সাতেক আঘাত পেয়েছেন গুরুতর। কারও হাত ভেঙেছে, কারও পা। শনিবার শালতোড়ায় বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ৫০ জন যাত্রী। কমবেশি আঘাত লেগেছে সকলেরই। এলাকার লোকজন জানান, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ থেকে যাত্রীবোঝাই ওই বেসরকারি বাসটি পুরুলিয়ার দিকে যাচ্ছিল। শালতোড়া কলেজ মোড়ের কাছাকাছি দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসের স্টিয়ারিং বিকল হয়ে পড়ায় চালক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি বলেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন একাংশ। দুপুরের বাস। যাত্রীরা নিজেদের মতো কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। কিছু বোঝার আগেই সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে রাস্তার উপর থাকা একটি দেওয়ালে। এরপর আরও কিছুটা এগিয়ে গিয়ে রাস্তার ধারে উল্টে যায় বাসটি।
অনুমতি হাঁসদা নামে এক যাত্রীর কথা, “এক বস্তা আলু, এক বস্তা পেঁয়াজ নিয়ে বাসে উঠেছিলাম। ভাড়াও কাটলাম ৭০ টাকা। হঠাৎ শালতোড়ার কাছে বাস আসতেই উল্টে গেল। সব নিয়ে ছিটকে গিয়ে পড়লাম। মাথা ফেটে একাকার। হাতে, পায়েও খুবই চোট লেগেছে।” কোলের সন্তানকে নিয়ে বর্ধমান থেকে বাপের বাড়িতে আসছিলেন বোধন মুর্মু। তিনি বলেন, “এক বাস লোক ছিলাম। কী করে যে কী হল কিছুই বুঝতে পারলাম না। বাসটা যখন উল্টে যাচ্ছে তখন দেখছি। কোলে আমার বাচ্চা। হুড়মুড়িয়ে ওকে নিয়ে পড়লাম। আমার উপর আরও দু’ তিনজন। আমি খালি ভাবছি, বাচ্চাটাকে রক্ষা করতে পারব কি না।” দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারাই ছুটে এসে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় শালতোড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।