বাঁকুড়া: দুর্ঘটনার পর তাঁর ব্যাগ ও মোবাইলের খোঁজ মিললেও খোঁজ মেলেনি বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান নিখিল ধাড়ার। যা নিয়ে চিন্তায় ছিল নিখিলের পরিবার। ঘুরছিলেন হাসপাতালে হাসপাতালে। লাগাতার ফোন যাচ্ছিল হেল্পলাইন নম্বরে। চলছিল খোঁজাখুঁজি। অবশেষে একদিন আগে সিআরপিএফের হস্তক্ষেপে তাঁর দেহ মেলে। মঙ্গলবার সিআরপিএফ জওয়ানদের কাঁধে চড়ে এল ইন্দাসের কুশমুড়ি গ্রামে এল নিখিলের কফিনবন্দী দেহ। কেঁদে উঠল গোটা গ্রাম। বাড়ির ছেলেকে হারিয়ে কেঁদে ভাসালেন পরিবারের সদস্যরা।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজগীরে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন নিখিল। এমনিতে তাঁর পোস্টিং ছিল ছত্তিশগড়ে। রাজগীর থেকে ফিরে ফের কাজে যোগ দিতে ২ জুন চড়েন করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। কিন্তু, গন্তব্যস্থলে পৌঁছনোর আগেই সব শেষ। বালেশ্বরে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কজে হাত লাগালেও খানিক পরেই ছুটে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, দমকল। মাঠে নামে সেনা। জোরকদমে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। তবে খোঁজ মিলছিল না নিখিলের।
বহু চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। সূত্রের খবর, সোমবার গ্রামের একদল বাসিন্দা নিখিলের খোঁজে বালেশ্বরে যান। সেখানে প্রশাসনের সহযোগিতায় নিখিলের সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়। কিন্তু, নিখিলের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এদিকে নিখিলের খোঁজে মাঠে নামে তাঁর সতীর্থরাও। খোঁজ শুরু করে সিআরপিএফ। শেষ পর্যন্ত ওড়িশার একটি হাসপাতালে নিখিলের খোঁজ মেলে। তবে ততক্ষণে সব শেষ। প্রাণ ছিল না নিখিলের দেহে। তারপরই মৃত নিখিলের দেহ তাঁর গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় সিআরপিএফ। কুশমুড়িতে সম্পন্ন হতে চলেছে তাঁর শেষকৃত্য।