AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mysterious Death: কিছুদিন আগেই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় মীমাংসা! এরইমধ্যে বৃদ্ধ মা-বাবার দেহ উদ্ধারে বাড়ছে রহস্য়

Bankura: এদিন সকালে দেখা যায় বৃদ্ধ দম্পতির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। শেষ পর্যন্ত ঘরের দরজা খোলা হলে দেখা যায় ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে লক্ষ্মী কুন্ডুর নিথর দেহ। অন্যদিকে ঘরের সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে দীনবন্ধুবাবুর নিথর দেহ।

Mysterious Death: কিছুদিন আগেই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, থানায় মীমাংসা! এরইমধ্যে বৃদ্ধ মা-বাবার দেহ উদ্ধারে বাড়ছে রহস্য়
শোরগোল এলাকায় Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2025 | 4:17 PM
Share

বাঁকুড়া: বন্ধ ঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার কুশমুড়ি গ্রামে। মৃত দম্পতির নাম দীনবন্ধু কুন্ডু (৮৬) ও লক্ষ্মী কুন্ডু ( ৭৬)। পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে ইন্দাস থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই হবে ময়নাতদন্ত। রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণে ধোঁয়াশা অনেকটা কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে খবর, অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক দীনবন্ধু কুন্ডু, স্ত্রী,  ছেলে এবং পুত্রবধূকে নিয়ে থাকতেন বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের কুশমুড়ি গ্রামের বাড়িতে। ছেলে অসিত কুন্ডু ও পুত্রবধূ সুস্মিতা কুন্ডু দু’জনেই পেশায় শিক্ষক। অভিযোগ, ছেলে ও পুত্রবধূ উভয়েই বৃদ্ধ বাবা ও মা কে সেভাবে সময় দিতেন না। তা নিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর সঙ্গে মাঝেমধ্যে অশান্তিও হয়েছিল। একবার বিষয়টি ইন্দাস থানাতেও মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন দীনবন্ধু বাবু। সে সময় পরিবারের সবাইকে ডেকে মীমাংসাও করা হয় বলে জানা যাচ্ছে। 

এরইমধ্যে এদিন সকালে দেখা যায় বৃদ্ধ দম্পতির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ। শেষ পর্যন্ত ঘরের দরজা খোলা হলে দেখা যায় ঘরের ভিতর পড়ে রয়েছে লক্ষ্মী কুন্ডুর নিথর দেহ। অন্যদিকে ঘরের সিলিং থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে দীনবন্ধুবাবুর নিথর দেহ। দৃশ্য দেখে হতবাক পরিবারের সদস্যরা। খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। শেষে পুলিশে খবর যায়। খবরে ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে ইন্দাস থানার পুলিশ। 

দীনবন্ধু কুন্ডুর ছেলে অসিত কুমার কুন্ডু বলছেন, “এখন কোনও সমস্যা ছিল না। বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে একটা পারিবারিক সমস্যা হয়েছিল। সেটা থানাতে বসেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমি ডাক্তার-সহ সব কিছুই ডেকে আনতাম, সবই করতাম। তারপরেও মিথ্যা করে থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল। তারপরই আমাকে থানায় ডেকেছিল। সেখানেই বিষয়টার ফায়সালা হয়ে যায়।”