Sonamukhi Crime: স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া চলছিল, এরইমধ্যে ছোট্ট মেয়ের সঙ্গে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটালেন মা…
Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিপুকুর এলাকায় বাবু বাগদী তাঁর স্ত্রী চুমকি বাগদী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন।
বাঁকুড়া: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা। সেই কলহে প্রাণ গেল এক শিশু কন্যার। অভিযোগ, মা তাঁর পাঁচ বছরের কন্যাকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় তাঁর আরও দুই সন্তানও আহত হয়েছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোনামুখী পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মালিপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহত দুই বাচ্চার মধ্যে একটি একেবারেই দুধের শিশু। অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। আকছাড়ই দেখা যায়, দাম্পত্য কলহের শিকার হচ্ছে কোলের সন্তান। সব ক্ষেত্রেই যে খুব ঠান্ডা মাথায় এমন ঘটনা ঘটানো হয় তাও নয়। মনোবিদদের মতে, অনেক সময় ভিতরের চরম অসহায়তা থেকেও এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন কেউ কেউ। কী করছেন, সেই হিতাহিত জ্ঞানটুকুও থাকে না কারও কারও। এদিনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালিপুকুর এলাকায় বাবু বাগদী তাঁর স্ত্রী চুমকি বাগদী ও তিন সন্তান নিয়ে থাকেন। বাবু ও চুমকির বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা হচ্ছে। নানা কারণে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারও সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়। তুমুল অশান্তি শুরু হয় দু’জনের। ঘরেই তিন সন্তান ছিল সে সময়। বছর পাঁচেকের মেয়ে মা-বাবার এই ঝামেলা চোখের সামনে দেখছিল বলেই স্থানীয়রা জানান। একটি শিশু শোয়ানো ছিল বিছানায়। অপরটিও ঘরেই।
সেই সময়ই আচমকা চুমকি তাঁর মেয়ে অহনা বাগদীর উপর চড়াও হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। হঠাৎই গলা টিপে ধরেন বলেও এলাকার লোকজনের দাবি। মেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপরই আরও দুই শিশু মুনিয়া বাগদী ও কৃষ্ণ বাগদীকেও একইভাবে গলা টিপে ধরেন বলেই এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। যদিও ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
কোনওভাবে কৃষ্ণ ও মুনিয়াকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর দেওয়া হয় সোনামুখী থানাতেও। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। অহনার বাড়িতেই মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বাকি দুই শিশুর অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। পুলিশ অহনা বাগদীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় বাবু ও চুমকিকে আটক করেছে সোনামুখী থানার পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আসল ঘটনা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। বাচ্চাগুলো খাইয়েছে। এরপরই ওদের ঝামেলা চরমে ওঠে। তখন বাচ্চাগুলোর গলা টিপে ধরে ওদের মা। একটা বাচ্চা মারা গিয়েছে। বাকি দু’টো বাচ্চা এখন অক্সিজেন টানছে।”