বাঁকুড়া: কে পয়সা খেয়েছে জানিনা, বিডিওকে পয়সা দিতে হবে। নাহলে বিডিও-র বেতন বন্ধের জন্য আমাদের লড়াই জারি থাকবে। সোমবার বাঁকুড়ার খাতড়ায় ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই ভাষাতেই তোপ দাগলেন ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরি নিয়েও তোপ দেগেছেন তিনি। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষের করের টাকা নিয়ে ১০০ দিনের কাজ করানো হয়েছে। তারপরও হিসেবের অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও এদিন সরব হন মীনাক্ষী।
এদিনের সমাবেশে উপস্থিত সংগঠনের কর্মীদের ‘সিপটি’ তৈরি রাখার নিদান দেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লম্বা সরু মায়ের হাতের সিপটি খেলে বাড়ির ছেলেপুলেদের পিঠ বেঁকে যায়। আমাদের সকলকে সেই সিপটি তৈরি রাখতে হবে। আমাদের আবাস যোজনার টাকা মেরে যারা চারতলা বাড়ি বানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় দল বা বিডিও-রা তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর না করলে দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। আমরা সেই দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।
রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও এদিন মিনাক্ষী এদিন আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসক দলকে। তিনি বলেন, ‘বেকার ছেলেমেয়েদের কাজ নেই। আমরা যদি সঠিকভাবে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করি, তাহলে আমাদের অনশন করতে হবে, নয়ত অতনু মিস্ত্রীর মতো মরতে হবে বা আবদুল রহমানের মতো আত্মহত্যা করতে হবে। ডি গ্রুপে চাকরি করতে হলে বাপের কিডনি বিক্রি করে তৃণমূলের ঘরে ঘুষ দিতে হবে, তবে চাকরি হবে।’
এদিন বিরোধী দলনেতাকেও কটাক্ষ করেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিধানসভার কক্ষে শুভেন্দুর সাক্ষাতের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি। বলেন, তিন মিনিট ধরে দিদিমনিকে প্রণাম করে এসেছে। এখানেও কাটমানি রয়েছে। কেন্দ্রীয় টিম যদি চোরদের ধরতে চায়, তাহলে আগে নন্দীগ্রামের বিধায়ককে ধরা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।