বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে পদ্ম শিবিরের নতুন করে অক্সিজেন জোগাতে ইতিমধ্যেই বাংলায় পা রেখেছেন বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। জেলায় জেলায় ঘুরে ডায়লগের ঝড় তুলছেন ‘ফাটাকেষ্ট’। সম্প্রতি গিয়েছিলেন পুরুলিয়ায়। ইতিমধ্যেই সেখানে ঘাসফুলের তরফে পাল্টা সভা করে ফেলেছেন পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, দেবাংশু ভট্টাচার্যরা। ২৭ তারিখ মিঠুনের যাওয়ার কথা রয়েছে বোলপুরে। সেখানে পাল্টা বিশাল সভা করার নির্দেশ এসে গিয়েছে জেলবন্দি অনুব্রতর তরফে। তবে মিঠুন চক্রবর্তী নিজে বাঁচার জন্য বিজেপির হাত ধরেছেন। এমনটাই মত সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করা বর্ষীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।
জয়প্রকাশের সাফ দাবি নিজের পিঠ বাঁচাতেই বাংলায় এসে প্রচারে নেমেছেন মিঠুন। সবই করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা মোদী ব্রিগেডের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অমিত শাহের নির্দেশে। প্রসঙ্গত, গত ২৪ নভেম্বর মেজিয়া কলেজ মাঠে বিজেপির কর্মী সম্মেলনে হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির এই সভার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার বাঁকুড়ার মেজিয়া হাইস্কুলে পাল্টা সভা করে তৃণমূল। যা নিয়েই তীব্র শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এই সভা থেকেই মিঠুনের নাম না করে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগলেন জয়প্রকাশ। সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। তাঁর নিশানাতেও ছিলেন মিঠুন। ব্রাত্যর সাফ দাবি মিঠুন যেখানেই পা রাখবে সেখানেই ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত হবে।
এদিন বাঁকুড়ার সভা থেকে ব্রাত্য বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তী বাংলা সিনেমা করলে এখন নিশ্চিতভাবে বলা যায় সেই সিনেমা চলবে না। এখন বাঁকুড়া পুরুলিয়া ঘুরে ঘুরে ডিস্কো ডায়লগ মারছেন। আমি চাই তিনি বেশি করে বাংলায় ঘুরে বেড়ান, উনি যেখানেই যাবেন সেখানেই তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হবে।” প্রসঙ্গত, বাম জমানার শেষদিকে ফাটাকেষ্ট সিরিজের একের পর এক সিনেমা ঝড় তোলে বাংলার বুকে। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর তৈরি এই ছবিগুলিতে মিঠুনের ঝড়ো ডায়লয় মন কাড়ে মানুষের। যা এখনও শোনা যায় পাড়া-গাঁয়ে। যদিও কয়েকদিন আগে পুরুলিয়ায় গিয়ে মিঠুন বলেছিলেন, “আজ আমি কোনও ডায়ালগ দিতে আসিনি, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার আছে, করুন। যার যা মনের দুঃখ-কষ্ট আছে,বলবেন।”