Elephant: দলের বাচ্চাটা মারা গিয়েছে, হাতির দলের সেই রাগই কি পড়ল পুলিশের উপর?
Bankuta: বৃহস্পতিবার রাতে দলটি পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরমুখী হয়। সেখানে হাতির দলের উপর নজরদারির দায়িত্বে ছিল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। তাদেরই একজনকে শুঁড় দিয়ে ধাক্কা মারে। পড়ে যান মাটিতে। পাশে ছিলেন আরেকজন। তিনিও পড়ে যান।
বাঁকুড়া: দু’দিন আগে মারা গিয়েছে দলের এক বাচ্চা। এরপর থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল হাতির দল। এরইমধ্যে হাতির গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো দুই পুলিশ কর্মী আহত হয় হাতির সামনে পড়ে। বিষ্ণুপুরের ঘটনা। বৃহস্পতিবার ভোরে মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ায় ঢোকে ৪০টি হাতির একটা দল। ওই দলে একাধিক বাচ্চা হাতি রয়েছে। এরকমই এক শাবক বুধবার মারা যায়। মেদিনীপুর ও বাঁকুড়ায় সীমানা এলাকায় মারা যায় সে। বনদফতর সূত্রে খবর, এরপর থেকেই ক্ষেপে ওঠে হাতির দল।
এলাকায় হুঙ্কার ছাড়ার পাশাপাশি হনহন করে দল বেঁধে রাস্তা পারাপার করতে দেখা যায় তাদের। বৃহস্পতিবার রাতে দলটি পাঞ্চেত বনবিভাগের আস্থাশোল জঙ্গল থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরমুখী হয়। সেখানে হাতির দলের উপর নজরদারির দায়িত্বে ছিল বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। রাস্তা পার করার সময় সেই দলেরই একটি হাতির হানায় জখম হন বিষ্ণুপুর থানার দুই পুলিশ কর্মী। আহতদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত সুস্থই আছেন তাঁরা।
আহত কনস্টেবল পঞ্চানন মুর্মু বলেন, “আস্থাশোলের জঙ্গলে গিয়েছিলাম হাতির গতিবিধি নজরদারিতে। একটা দল রাস্তা পার হচ্ছিল। বুঝতেই পারিনি, হঠাৎ একটা হাতি আমাদের তাড়া করে। একজনকে তো শুঁড়ে করে ঠেলে দেয়। পাশে আমি ছিলাম, বাঁদিকে আমি পড়ে যাই। চোট লেগেছে। এলাকার লোকজনই আমাদের তুলে হাসপাতালে নিয়ে আসে।” অনেকেই মনে করছেন, ওই হাতি মৃত শাবকের মা হতে পারে। সেই রাগেই হয়ত এমন ঘটনা ঘটিয়ে বসেছে সে।
জানা গিয়েছে, ওই হাতির দল বনদফতরের এলিফ্যান্ট স্কোয়াড টিম ও বনকর্মীদের তৎপরতায় পাঞ্চেত বনবিভাগের বিষ্ণুপুর, জয়পুরের জঙ্গল পার করে গোঁসাইপুরের কাছে দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে হিংজুড়ি, কুশদ্বীপ হয়ে বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের সোনামুখী রেঞ্জের তেঁতুলবাধে অবস্থান করছে হাতির দল।