বাঁকুড়া: এখন ধান শুকনোর সময়। ফলে পাকা ধান কেটে বিভিন্ন জায়গায় রোদে শুকতে দিচ্ছেন কৃষকরা। তবে জঙ্গল লাগোয়া গ্রাম যেখানে হাতির দাপাদাপি বেশি সেখানে চরম অসুবিধায় পড়ছেন তাঁরা। ধান কাটতে গিয়ে হাতির হানার মুখে এক কৃষক। যার জেরে গুরুতর জখম হলেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের নিত্যানন্দপুর গ্রাম লাগোয়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের লাদুনিয়ার জঙ্গলে বেশ কিছুদিন ধরেই ঘাটি গেড়ে রয়েছে দলছুট একটি দাঁতাল। শুক্রবার সকালে নিত্যানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় কৃষক অনুপ ঘোষ লাদুনিয়ার জঙ্গল লাগোয়া নিজের জমির ধান বাঁধার কাজ করতে যান। জমিতে ধান বাঁধার সময় পিছন থেকে দলছুট ওই দাঁতাল তাঁর উপর হামলা চালায়। প্রাণভয়ে অনুপ ঘোষ গ্রামের দিকে ছুট লাগালে তাঁকে তাড়া করতে শুরু করে দাঁতালটি। কিছুটা যাওয়ার পর অনুপ ঘোষ পড়ে গেলে হাতি তাঁকে ধরে ফেলে। অভিযোগ, তারপর পা দিয়ে পিষে দেয়। ঘটনায় গুরুতর জখম হন অনুপবাবু।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বনকর্মীরা আহত অনুপ ঘোষকে উদ্ধার করে প্রথমে বেলিয়াতোড় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ দিনের পর দিন এলাকায় হাতি তাণ্ডল চালালেও বন দফতর কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। এদিনের ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি এলাকা থেকে হাতিটিকে সরানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনুপে শ্যালক অসিত ঘোষ বলেন, “প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে বন দফতর। কোনও দিন কোনও ক্ষতিপূরণ পাইনি। আমার জামাই আজ ধান বাঁধতে গিয়েছিল। সেই সময় হাতি আখ্রমণ করে। আমি দেখিওনি কী হয়েছে। গ্রামের ছেলেরাই ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”