সোনামুখী: একেবারে পুরসভার সামনে নর্দমা থেকে জোড়া ভ্রুণ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরে। এদিন সকালে এক মহিলাকে নর্দমায় বালতিতে করে কিছু ফেলতে দেখে সন্দেহ হয় এলাকার লোকজনের। নর্দমার কাছে গিয়ে স্থানীয় একজন দেখেন দুটি ভ্রুণ ফেলে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এলাকারই একটি পলিক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত করানোর পর ওই দুটি ভ্রুণ ফেলে দেওয়া হয়েছে নর্দমায়। বিষয়টি পুলিশের নজরে আনার পাশাপাশি অবিলম্বে ওই পলিক্লিনিক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের পুরসভার অদূরেই রয়েছে একটি পলিক্লিনিক। পেশায় চিকিৎসক মানস মুখোপাধ্যায় ওরফে পাহাড়ি বাবু ওই পলিক্লিনিকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভাবে গর্ভপাতের ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ। এদিন সকালে স্থানীয়রা দেখেন পলিক্লিনিক থেকে চিকিৎসক পাহাড়ি বাবু বেরিয়ে আসেন। সঙ্গে এক মহিলা বালতিতে করে কিছু নিয়ে পুরসভার সামনের নর্দমায় ফেলে আসেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির সন্দেহ হওয়ায় তিনি নর্দমার কাছে গিয়ে দেখেন নর্দমার মধ্যে ২ টি সদ্যজাত ভ্রুণ পড়ে রয়েছে।
ওই ব্যক্তি বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আনলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তাঁরাই সোনামুখী থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্রুণ দুটি উদ্ধার করে সোনামুখী থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি পলিক্লিনিকে অবৈধভাবে গর্ভপাত করার পর ভ্রুণ দুটিকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সময় স্থানীয়দের চাপের মুখে পড়ে এক মহিলা স্বীকার করেছেন গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের মৃত্যু হওয়ায় ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই পলিক্লিনিকে গর্ভপাত করিয়ে মৃত ভ্রুণ নর্দমায় ফেলা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই পলিক্লিনিকে চিকিৎসার নামে এই বেআইনি ব্যবসা চলে আসছে। অবিলম্বে ওই পলিক্লিনিক বন্ধের দাবিতে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক মানস মুখোপাধ্যায়। তিনি এই কাজের সাথে কোনওভাবে যুক্ত নন বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ২০২৩ সাল থেকে ওই নার্সিংহোম ভাড়ায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই সেখানে কী হয়েছে তার দায় তাঁর নয়।