বাঁকুড়া: দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে কুড়মি আন্দোলনের ঝাঁঝ। এসটি স্বীকৃতির দাবিতে গোটা রাজ্যব্যাপী জোরদার আন্দোলন চালাচ্ছে কুড়মিরা (Kurmi Protest)। সাম্প্রতিক সময়ে দিনের পর দিন অবরুদ্ধ হয়েছে রেল চলাচল, জাতীয় সড়ক। প্রসঙ্গত, এসটি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের ওপর রাজ্যের তরফে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, এই দাবিকে সামনে রেখে একটানা আন্দোলন জারি রেখেছেন কুড়মি জনজাতির মানুষরা। তাতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে দেখতে শুরু করেছেন আদিবাসীরা (Adivasi)।
কুড়মিদের আন্দোলনের কাছে রাজ্য সরকার নতি স্বীকার করে সিআরআই রিপোর্টে বদল ঘটাতে পারে। এমন আশঙ্কা থেকে এবার আদিবাসীরা রাজ্য সরকারকে পাল্টা চাপে রাখতে চাইছে। তাই বনধের এই কৌশল। এমনটাই জানিয়েছেন আদিবাসীদের যৌথ মঞ্চের একাধিক নেতা। সম্প্রতি এ রাজ্যের আদিবাসীদের সম্মিলিত সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশানসের তরফে ৮ জুন ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রথমে বনধের দিন রেল, সড়ক-সহ সমস্ত কিছু বন্ধের ঘোষণা করলেও শুক্রবার ফোরামের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় আপাতত ৮ জুনের বাংলা বনধে ছাড় দেওয়া হচ্ছে রেল-সহ অন্যান্য জরুরি পরিষেবাকে।
তবে বনধের দিন জাতীয় ও রাজ্য সড়ক সহ সমস্ত সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদিবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম। তবে এ ক্ষেত্রেও দুধের গাড়ি, দমকল, অ্যাম্বুলেন্স-সহ বিভিন্ন জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আদিবাসী সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ। বনধে রাজ্যের জঙ্গলমহলের ৪ জেলা ছাড়াও হুগলি, নদিয়া, দুই চব্বিশ পরগনা ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আদিবাসীরা রাস্তায় নামবে বলে জানিয়েছে আদিবাসীদের সম্মিলিত ফোরাম।