বাঁকুড়া: কী অবস্থা! তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রাথমিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতেই অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর করে স্কুলের ভিতরই তালাবন্ধ করে রাখল স্থানীয় বাসিন্দারা। আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল পুলিশ।
বাঁকুড়ার ঘটনা। স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিলের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। অন্যান্যদের সহপাঠীদের সঙ্গে সেই সময় মিড ডে মিলের চাল আনতে যায় ওই এক ছাত্রী। অভিযোগ, চাল দেওয়ার পর অন্যান্য ছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হলেও ওই ছাত্রীকে স্কুলে আটকে রাখেন স্কুলের এক শিক্ষক। অভিযোগ, তখনই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় সে। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি নাবালিকার শ্লীলতাহানিও করা হয় বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ।
এরপর ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে গিয়ে কান্নাকাটি করে। পাশাপাশি গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে অর্থাৎ বুধবার ওই স্কুল শিক্ষক ফের স্কুলে গেলে তাকে আটকে রেখে ব্যাপক মারধর করে স্কুলেই আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দা অভিভাবকরা। ভাংচুর করা হয় শিক্ষকের বাইকটিতেও। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই শিক্ষককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ওই স্কুল শিক্ষককে দ্রুত অপসারনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নির্যাতিতার মা জানান, ‘মিড ডে মিলের চাল দেওয়ার পর সবাইকে বাড়ি ছেড়ে দেয়। তবুও আমার মেয়েক ছেড়ে দেয়নি। এরপর দরজা বন্ধ করে আমার মেয়েকে বলেন, এই আমার সঙ্গে প্রেম করবি? একটা ছোট্ট শিশুকে কেউ এমন বলে? ওনার চরিত্রে সমস্যা রয়েছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে।’ অপর দিকে স্থানীয় আরও এক বাসিন্দা বলেন, ‘তিনবার এই রকম কাজ করেছে। ওকে স্কুল থেকে বের করে দিতে হবে এটাই আমাদের দাবি। এর আগেও এমন কাজ করছে। ওকে যোগ্য শাস্তি দিতে হবে।’ অন্য আর এলাকাবাসী বলেন, ‘শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াবে, শেখাবে। কিন্তু এ কী করছেন? ওর ঘরে কি মা-বোন নেই? নাকি সন্তান নেই?’