
বাঁকুড়া: বিএলও (BLO) নিয়োগ নিয়ে আগেই একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। বিভিন্ন তৃণমূল নেতারা নিজেদের মতো করে নিদান দিচ্ছিলেন। এবার একই সুর শোনা গেল তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তীর গলায়। তিনি বলেন, “বিএলও (BLO) গ্রামে গেলে আপনারা তাঁর সঙ্গে যান। গ্রামে কোনও ব্যক্তি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর ফর্ম নিয়ে আপনারা পূরণ করে জমা দিন। গ্রামে গ্রামে পাড়ায় পাড়ায় নাগরিক কমিটি গঠন করে নাম বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন।” বাঁকুড়ার সিমলাপালের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে আসন্ন SIR নিয়ে দলীয় কর্মীদের এমন নিদান দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। বিএলও-র সঙ্গে গিয়ে তৃণমূল কর্মীরা মস্তানি করার চেষ্টা করলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি এবং গুলি জুটতে পারে পাল্টা হুঁশিয়ারি বিজেপির।
SIR নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। বিএলও নিয়োগ নিয়েও উঠছে বিভিন্ন প্রশ্ন। আর এসবের মাঝেই এবার বিতর্ক উস্কে দিলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল সাংসদ অরুপ চক্রবর্তী। বাঁকুড়ার সিমলাপালে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে অরুপ চক্রবর্তী দলের স্থানীয় কর্মীদের বিএলওদের সঙ্গে যাওয়ার নিদান দিয়েছেন। তাঁর দাবি সারা রাজ্যে SIR-এর নামে এক কোটি মানুষের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তা রুখতে সংঘবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। প্রত্যেক জায়গায় বিএলও কর্মীরা গ্রামে গেলে তাঁর সঙ্গে দলের বুথ স্তরের কর্মীদের যেতে হবে। গ্রামের একটি নামও যাতে বাদ না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কেউ অনুপস্থিত থাকলে তাঁর ফর্ম নিয়ে দলীয় কর্মীদেরই পূরণ করে বিএলও র কাছে জমা করতে হবে।
সাংসদের এমন মন্তব্য সামনে আসতেই পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের প্রশ্ন, বিএলওদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীরা কী মস্তানি করতে যাবে? নির্বাচন কমিশনের হয়ে বিএলও রা গ্রামে যাবেন। সেখানে কেউ মস্তানি করতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠি মিলতে পারে, মিলতে পারে গুলিও।