বাঁকুড়া: কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে পুরভোট। নদিয়ার তাহেরপুর ও দার্জিলিং বাদ দিয়ে সব কটি পুরসভা ইতিমধ্যে দখলে নিয়েছে তৃণমূল। এর আগে চার পুরনিগমও সবুজ শিবিরের হাতে চলে গিয়েছিল। তবে এই জেতার পিছনে হিংসাকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা। এদিকে, ফলাফল ঘোষণা হতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। সেই তালিকা থেকে বাদ যায়নি বাঁকুড়া। এবার বিজেপি বিধায়কের দোকানে পড়ল হুমকি পোস্টার। দোকান খুললেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
পুরসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় বিজেপি ধরাশায়ী হতেই বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার দোকানে পড়ল হুমকি পোস্টার। শুক্রবার রাতে বাঁকুড়ার ভৈরবস্থান মোড়ে বিধায়কের নিজের বন্ধ থাকা কাপড়ের দোকানের সার্টারে কেউ বা কারা পোস্টার সাঁটিয়ে দেয়। ছাপানো এই পোস্টারে লেখা রয়েছে দোকান খুললেই মারব। কে বা কারা এই পোস্টার দিয়েছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।
এরপর শনিবার সকালে এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিধায়কের দোকানে ওই পোস্টার দেখে বিষয়টি বিধায়ককে জানান। এদিনের পোস্টারের পরিপ্রেক্ষিতে পালটা সুর চড়িয়েছেন বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা। তিনি বলেন, “হাতি বাজার গেলে হাজার কুকুর ঘেউ-ঘেউ করে। এই ভাবে একটি হুমকি পোস্টার দিয়ে নিলাদ্রী শেখর দানাকে চুপ করিয়ে রাখা যাবে না। কারো ক্ষমতা থাকলে সামনা সামনি লড়াই করুক।” বিধায়কের দোকানে এদিন হুমকি পোস্টার পড়ার ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের দাবি এই ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দের ফল। পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি গোহারা হেরে বিজেপিরই একাংশ দলীয় নেতৃত্বের প্রতি এইভাবে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। বিজেপির তরফে স্পষ্টতই গোষ্ঠীদ্বন্দের তত্ত্ব উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিজেপি।
অন্যদিকে, তৃণমূল কর্মী বলেন, “এটা দুষ্কৃতীদের কাজ। তৃণমূল যুক্ত নয়। পুরসভার ফলাফল বেরনোর পর থেকেই দলের অন্দরের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তারাই হয়ত কেউ এমন কাজ করেছে।”