Bankura News: ঘরকে ঘর জন্ডিসে আক্রান্ত, টিভিনাইন বাংলা খবর করতেই গ্রামে স্বাস্থ্য-প্রতিনিধি দল
Bankura News: গ্রামের লোকজনই জানিয়েছিলেন, গত আড়াই মাসে এ গ্রামের বহু মানুষ জন্ডিসের কবলে পড়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় ২৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর এলাকার ব্যবহার্য নলকূপগুলি থেকে জলের নমুনা নিয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষাও করে।
বাঁকুড়া: গ্রামজুড়ে জন্ডিসের দাপট। আড়াইশো জনের বেশি জন্ডিসে ভুগছেন। টিভিনাইন বাংলা সেই খবর তুলে ধরার পরই তৎপরতা বাড়াল জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসন। বাঁকুড়ার সাতমৌলি গ্রামে পাঠানো মেডিক্যাল টিম। শুরু হল সচেতনতা প্রচার অভিযানও। পুজোর আগে রাজ্যজুড়ে যেন মারণহুল ফোটাতে শুরু করেছে এডিস ইজিপ্টাই। ঘরে ঘরে ডেঙ্গির প্রকোপ। এরইমধ্যে আবার জন্ডিসে কাবু সাতমৌলি।
গ্রামের লোকজনই জানিয়েছিলেন, গত আড়াই মাসে এ গ্রামের বহু মানুষ জন্ডিসের কবলে পড়েছেন। সংখ্যাটা প্রায় ২৫০ ছুঁয়ে ফেলেছে। স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর এলাকার ব্যবহার্য নলকূপগুলি থেকে জলের নমুনা নিয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষাও করে। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ওইটুকুতেই হাত ঝেড়ে ফেলেছে তারা।
খবর প্রচারিত হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় সাতমৌলি গ্রামপঞ্চায়েত। বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের যৌথ উদ্যোগে শনিবারই গ্রামে যায় মেডিক্যাল টিম। গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্যবিধি হাতেকলমে বোঝানোর পাশাপাশি উপসর্গ থাকা ব্যক্তিদের রক্তপরীক্ষা করা হয়। পরিষ্কার করা হয়েছে নলকূপের জলও। তারপরও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে গ্রামবাসীদের জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত।
এলাকার বাসিন্দা প্রভাসচন্দ্র দে বলেন, “আমার ভাইঝির জন্ডিস। জলের এখানে খুব সমস্যা। নলকূপের জল খাচ্ছি। জলের ট্যাঙ্ক বসল, অথচ পাইপ লাইনের দেখা নেই। পঞ্চায়েতের ভূমিকা তো কিছুই দেখছি না। তাও খবরে দেখানোর পর গ্রামে মেডিক্যাল টিম এলো।” আরেক বাসিন্দা জয়গুরু মণ্ডলের কথায়, “আমার ছেলেদের হয়েছে। ডাক্তার বললেন জলের জন্য হচ্ছে। অনেক টাকা খরচও হয়ে গিয়েছে এই ক’দিনে। কিন্তু সকলে তো আর টাকা খরচ করতে পারছে না। কেউ মালা পরছে, ঝাড়ফুঁক করছে। এতে তো আর সারবে না।”
প্রধান অন্তু মণ্ডল বলেন, “আমাদেরও নতুন বোর্ড গঠন হয়েছে। পঞ্চায়েতের তরফে আমার যতটুকু করানোর আমি কিন্তু তা করিয়েছি এখানে। আরও যা করার করব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার, আশাদিদিদের দিয়ে প্রচার, মাইকিং সবই হচ্ছে।”