বাঁকুড়া: মঙ্গলবারই দলবদল করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। প্রথমে কংগ্রেস, তারপর বিজেপি আর এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি। ঘাসফুলে যোগ দেওয়ার পরই পদপ্রাপ্তি হয়েছে তাঁর। তৃণমূলের সহ-সভাপতির পদ পেয়েছেন জয়প্রকাশ। সোমবার দলবদলের আগে বিজেপি মহিলা মোর্চার সভাপতি তথা হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সঙ্গী ছিলেন সায়ন্তন বসু ও রীতেশ তিওয়ারী। বৈঠকের পরের দিন হঠাৎ করেই দলবদল। গতকালের জয়প্রকাশের দলবদল নিয়ে মুখ খোলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জী থেকে দিলীপ ঘোষের মত তাবড়-তাবড় নেতারা। এরপর বুধবার একই ইস্যুতে ফের মুখ খোলেন হুগলির সাংসদ।
কী বললেন লকেট?
আজ বাঁকুড়ার সার্কাস ময়দান এলাকায় সদ্য প্রয়াত এক বিজেপি নেতার বাড়িতে দেখা করতে যান লকেট চ্যাটার্জী। সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, “আরও তিন-চারজন জয়প্রকাশ দলের মধ্যে আছে। তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে। একই সঙ্গে যাঁরা দলের মধ্যে থেকে দলটাকে নষ্ট করছে তাঁদেরকেও চিহ্নিত করা হবে। তাই তাঁরা যত তাড়াতাড়ি চলে যান ততই দলের জন্য মঙ্গল।”
গতকালই তৃণমূল দাবি করে জয়প্রকাশ মজুমদারের পর বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে আসতে চাইছেন। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় কার্যত তৃণমূলের দাবিতেই সিলমোহর দিলেন। তিনি বলেন, “এই ধরনের জয় প্রকাশদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু হয়েছে। সবাই বুঝতে পারছে কারা তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে চলছে। হোয়াটস আপ গ্রুপে কেউ-কেউ এখনও থেকে গিয়েছে। তারা নিজেরা বলে না যে বিজেপি ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু তারা হোয়াটস আপ গ্রুপ থেকে খবর বাইরে বের করে দিচ্ছে। এই ধরনের ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আগে বের করা হবে।”
বস্তুত, সোমবার সকালে আকস্মিক নজরুল মঞ্চের সামনে তৃণমূল নেতাদের পাশেই দেখা যায় জয়প্রকাশকে।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: Women Harassment: প্রতিদিন স্ত্রীকে ঘুম ‘পাড়িয়ে’ ছোট্ট মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ বাবার! স্তম্ভিত কাশীপুর