
বাঁকুড়া: ঘূর্ণাবর্তর দোসর এখন মৌসুমি অক্ষরেখা। সোমবারের মধ্যেই নিম্নচাপের জন্ম। উপকূল ও পশ্চিমের ৮ জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এরইমধ্যে লাগাতার বৃষ্টিতে বানভাসি বাঁকুড়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দনপল্লী এলাকা। জলবন্দী গোটা এলাকা। সকাল থেকে গৃহবন্দি অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন গোটা এলাকার মানুষ। ভারী বৃষ্টি হলেই কেন এমন বানভাসি হচ্ছে এলাকা? শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা।
বৃহস্পতিবার থেকেই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মোট ৭৫ মিলিমিটার। আর তাতেই জল থইথই অবস্থা বাঁকুড়ার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দনপল্লী এলাকা। রাস্তার উপর দিয়ে বেগে শুধু হাঁটু সমান জল বইছে তাই নয়, পার্শ্ববর্তী নর্দমার জল রাস্তা ডিঙিয়ে ঢুকে পড়েছে এলাকার বাড়িগুলিতেও। পরিস্থিতি এমনই যে সকাল থেকে এলাকার কোনও স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে যেতে পারেনি, তেমনই জল ডিঙিয়ে অনেকেই পৌঁছাতে পারেনি নিজের কর্মস্থলে। বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস করেননি এলাকার বহু মানুষ।
এরইমধ্যে আবহাওয়া দফতর বলছে, ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেলায়। সে ক্ষেত্রে এলাকার পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় ঠিকমতো নিকাশি ব্যবস্থা না থাকার ফলেই এমন ঘটনা বারেবারে ঘটছে। বারংবার পুরসভাকে জানিয়েও লাভ হয়নি। বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানার দাবি, কাটমানির পুরসভা চলছে। টাকার বিনিময়ে পরিকল্পনাহীনভাবে এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার ফলেই এমন ঘটনা ঘটছে। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ বাঁকুড়া পুরসভা। উপ পৌরপ্রধান হীরালাল চট্টরাজ বলছেন, এলাকায় নিকাশির সমস্যা রয়েছে। সে জন্য ওই এলাকায় যত্রতত্র বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া বন্ধ রয়েছে। বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন। খোঁচা দিয়ে বলছেন, যিনি কাটমানি নেন তিনিই কাটমানির কথা বলছেন।