
বাঁকুড়া: অবসর জীবনের জন্য তিলে তিলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করেছিলেন প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ব্যবহার করতেন না কোনও অনলাইন অ্য়াপ্লিকেশনও। কিন্তু, নিজের পকেট থেকে ফোন খোয়া যেতেই সর্বনাশ। দফায় দফায় প্রতারকরা ফাঁকা করে দিল অ্যাকাউন্ট। মাথায় হাত সরকারি কর্মচারির। ঘটনা বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের দিবাকরবাটি গ্রামের। খোয়া যাওয়া টাকা ফিরে পাওয়ার আশায় পুলিশ ও সাইবার প্রতারণা বিভাগের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই সরকারি কর্মচারী।
বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের দিবাকরবাটি গ্রামের বাসিন্দা সুধাংশু দাস ইন্দাসের রেজিস্ট্রি অফিসের হেডক্লার্ক। নিজের মাসিক বেতন থেকে অল্প অল্প টাকা বাঁচিয়ে অবসরের সঞ্চয় হিসাবে স্থানীয় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা জমা করেছিলেন। অজান্তেই প্রতারিত হতে পারেন এই আশঙ্কায় কোনও অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতেন না। কিন্তু, তাতেও শেষ রক্ষা হল না। ১৫ মে নিজের মোবাইল ফোন হারিয়ে ফেলেন সুধাংশু দাস। ফোন হারিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে থানায় অভিযোগ জানিয়ে একই নম্বরের সিম কার্ড তোলেন সুধাংশু দাস।
শুক্রবার সুধাংশু বাবুর ফোনে একটি মেসেজ এলে সন্দেহ দানা বাঁধে। তড়িঘড়ি তিনি ওই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের স্থানীয় শাখায় ছুটে যান। পাসবুক আপডেট করাতেই তিনি দেখেন ১৫ মে থেকে ১৯ মে এই ৫ দিনের মধ্যে দফায় দফায় অনলাইন ট্রানজেকশন করে ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্টে পড়ে রয়েছে দেড়শো টাকারও কম। চাকরি জীবনের প্রায় শেষে এসে এই ভাবে সারা জীবনের সঞ্চয় খোয়া যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন সুধাংশু দাস। তড়িঘড়ি হাজির হন ইন্দাস থানায়। সেখানে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অনলাইন অভিযোগ জানান তিনি।