বাঁকুড়া: বিডিওর নাক ভেঙে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। প্রকাশ্য সভা থেকে অমরনাথ বলেন, ১৮ তারিখ দলগতভাবে বিডিওকে ঘেরাও করা হবে। এরপরই তিনি বলেন, কাচ না ভাঙতে পারলেও বিডিওর নাকটা ভালই ভাঙতে পারবেন। রবিবার বাঁকুড়ার ওন্দা সবজি বাজারে বিজয়া সম্মিলনী ছিল বিজেপির। সেই মঞ্চ থেকে বিধায়ক এই হুঁশিয়ারি দিতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিধায়কের এহেন মন্তব্যে পাল্টা সরব তৃণমূলও।
ওন্দার বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা। এদিন তিনি শস্যবীজ বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। বলেন, যাঁরা এই শস্যবীজ পাওয়ার অধিকারী, তাঁরা তা পাচ্ছেন না। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেদের হস্তক্ষেপে সেই বীজ বাজারে চড়া দামে বিক্রিও হচ্ছে। এরপরই জানান, ১৮ ডিসেম্বর তাঁরা বিডিও অফিস ঘেরাও করবেন। আর সে কথা বলতে গিয়েই বিডিওর নাক ভাঙার কথা বলেন।
পরে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অমরনাথ শাখা বলেন, “এটা তো আমরা তৃণমূলের কাছ থেকেই শিখেছি। এই তৃণমূল কংগ্রেস নিজেরা ক্ষমতায় থেকে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝামেলা করে। মানুষকে তাঁদের প্রাপ্যটুকুও দেয় না। সরকারি শস্য যে এসেছে, তা গমবীজ হোক বা সর্ষেবীজ, রাতের অন্ধকারে পাচার হচ্ছে। আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা বলেছেন। প্রশাসন কানে তোলে না। নতুন বিডিও এসেছেন। এরমধ্যে টেন্ডার না করে ১০ শতাংশ টাকার বিনিময়ে কনট্রাক্টরদের কাজ পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
পঞ্চায়েত সমিতি নিয়েও অভিযোগ বিধায়কের। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, টেন্ডার বা বীজ বিতরণের ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতিই হয়নি। নিয়ম মেনেই ই-টেন্ডার হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে কৃষকদের বীজও দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বিধায়করা এ ধরনের কথা বলতে পারেন না। ওদের নেতাদের উস্কানি আছে কি না দেখতে হবে।”