Bankura Patient Death: স্বাস্থ্যসাথীতে ‘অরুচি’ নার্সিংহোমের, এ হাসপাতাল ও হাসপাতাল করতে গিয়েই মৃত্যু

Hirak Mukherjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 16, 2023 | 2:36 PM

Bankura Patient Death: এ দিকে, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভাল কেন এল না সেই বিষয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভালের জন্য রোগী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই হাসপাতালই কার্ডটি পাঠায় স্বাস্থ্য ভবনে। সেখানকার স্বাস্থ্য সাথী সেল থেকে অনুমতি আসে। এ ক্ষেত্রে রোগীর ভর্তি হওয়ার ছ'দিন পরও কেন অনুমতি এল না, এর দায় কার? উঠছে প্রশ্ন।

Bankura Patient Death: স্বাস্থ্যসাথীতে ‘অরুচি’ নার্সিংহোমের, এ হাসপাতাল ও হাসপাতাল করতে গিয়েই মৃত্যু
রোগী মৃত্যুর জেরে হাসপাতালে উত্তেজনা
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: রোগী মৃত্যুর জেরে উত্তাল বাঁকুড়ার বেসরকারি নার্সিংহোম। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও ওই রোগীর কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুমতি না মেলায় রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য বাধা দেওয়া হয় বলে খবর। আর এই টানাটানির মধ্যেই শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু হয় রোগীর। যার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। নার্সিংহোম ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। যদিও, গোটা ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এ দিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভাল কেন এল না সেই বিষয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের অ্যাপ্রুভালের জন্য রোগী যে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সেই হাসপাতালই কার্ডটি পাঠায় স্বাস্থ্য ভবনে। সেখানকার স্বাস্থ্যসাথী সেল থেকে অনুমতি আসে। এ ক্ষেত্রে রোগীর ভর্তি হওয়ার ছ’দিন পরও কেন অনুমতি এল না, এর দায় কার? উঠছে প্রশ্ন।

কী ঘটেছে?

গত ১০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোলের বাসিন্দা বছর ৬২ র পার্শ্বলা মণ্ডল পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিলেও তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতে থাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এরপর শুক্রবার পার্শ্বলাদেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রোগীর পরিজনেরা তাঁকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। অভিযোগ, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুমতি আসেনি এই বলে ওই রোগীকে ছাড়তে চাওয়া হয়নি নার্সিংহোম থেকে।

এরপর আজ সকালে মৃত্যু হয় পার্শ্বলা মণ্ডলের। যার জেরে নার্সিংহোমে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নার্সিংহোম ভাংচুর চালানোর। খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিজনদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, ওই রোগীর ক্ষেত্রে কোনও টাকা দাবি করা হয়নি। রোগী আটকে রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। তাদের পাল্টা অভিযোগ, রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে নার্সিংহোমই রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু রোগীর পরিজনেরা তা করেনি।

মৃতের ছেলে উসমান আলি মণ্ডল বলেন, “পায়ে ব্যথা নিয়ে মাকে এখানে ভর্তি করি। ডাক্তারবাবু বললেন অপারেশন করতে হবে। পরের দিন কর্তৃপক্ষ বলল মায়ের শারীরিক অবস্থা ভাল না। আইসিইউতে রাখতে হবে। প্রতিদিন চারহাজার টাকা দিতে হবে। আমরা গরিব মানুষ। এতটাকা দিতে পারব না। নার্সিংহোমকে জানাই রোগীকে ছেড়ে দিতে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করাবো। ওরা আজ ছাড়ছি-কাল ছাড়ছি বলে ছাড়ল না। বলল কার্ডের অ্যাপ্রুভাল আসেনি। আজ সকালে মা মারা গেল।” নার্সিংহোমের ম্যানেজার উদ্দালক লাহিড়ী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওনাদের কাছ থেকে কোনও টাকা চাওয়া হয়নি। ওনারা শুধু স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। সেইটাই বারণ করা হয়।”

Next Article