
বাঁকুড়া: গত দেড় মাসে বাঁকুড়ার কোতুলপুর ও জয়পুর থানা এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা এলাকায়। জোরকদমে তদন্তও শুরু করেছিল পুলিশ। শেষ পর্যন্ত কিনারা। গ্রেফতার দুই দুষ্কৃতী। দু’টি আলাদা আলাদা চুরির ঘটনায় তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে দু’টি বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া বিপুল পরিমাণ সোনার অলঙ্কার ও নগদ টাকা। এই ঘটনায় যুক্ত অপর দুস্কৃতিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
গত ১০ জুলাই বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানায় সেনাকর্মী গনেশ মহন্তর বাবা প্রশান্ত মহন্ত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ, কোতুলপুর থানার বামুনাইরি মোড়ে তাঁর বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে বাড়িতে রাখা প্রায় ৪২ গ্রাম সোনার গনা ও ৫০ হাজার নগদ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায় দুস্কৃতীরা। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করে কোতুলপুর থানার পুলিশ। কিন্তু তদন্ত যখন পুরোদমে চলছে তখন ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।
গত ৫ অগস্ট পার্শ্ববর্তী জয়পুর থানার হাটতলা দত্তপাড়া এলাকায় জনার্দন গরাইয়ের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এক্ষেত্রেও বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে দুস্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে মেয়ের বিয়ের জন্য রাখা ২৯ গ্রাম সোনার গয়না ও ৩৫ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। কোতুলপুর ও জয়পুর থানায় পরপর দুটি বাড়িতে চুরির পদ্ধতি দেখে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হয় দুটি চুরির ক্ষেত্রে দুস্কৃতীদের একটি দলই কাজ করছে। এরপর বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে গত ১১ অগস্ট পুলিশ বাঁকুড়ার ওন্দা থানার পুনিশোল গ্রাম থেকে আব্দুল রব খান ও মতিউর রহমান মণ্ডল নামের দুই দুস্কৃতীকে গ্রেফতার করে।
ধৃতদের বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেয় তদন্তকারীরা। এরপর ধৃতদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে শুক্রবার রাতে তাদের হেফাজত থেকে দু’টি বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া সমস্ত সামগ্রী ও নগদ টাকা উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত দুই দুস্কৃতীর হেফাজত থেকে উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও সোনার অলঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত অপর এক দুস্কৃতীর খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।