Farmers in Tension: আগের ৩ কিলোর বদলে এখন লাগছে ২০ কিলো! রাজ্যজুড়ে সারের ‘কালোবাজারি’ নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা

Hirak Mukherjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 22, 2025 | 3:16 PM

Farmers in Tension: একের পর এক কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না ফসল। সার্টিফায়েড বীজের ছাপ দেওয়া বস্তায় বীজ কিনে এনে ফলন যা হচ্ছে তা সাধারণ বীজের তুলনায় কোনও অংশে বেশি নয়। বলছেন চাষিরাই।

Farmers in Tension: আগের ৩ কিলোর বদলে এখন লাগছে ২০ কিলো! রাজ্যজুড়ে সারের ‘কালোবাজারি’ নিয়ে চিন্তায় কৃষকরা
চিন্তায় চাষিরা
Image Credit source: TV 9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: ৩ কিলো রাসায়নিক সার দিয়ে যে ফলন মিলতো এখন সেই ফলন পেতে প্রয়োগ করতে হচ্ছে ২০ কিলো রাসায়নিক সার। রাজ্যজুড়ে প্রশ্নের মুখে সারের গুণমান। শুধু রাসায়নিক সার নয়, গুণগত মান নিয়ে প্রশ্নের মুখে কীটনাশক ও বীজও। উৎপাদন আশানুরূপ না হওয়ায় রাসায়নিক সারের পাশাপাশি কীটনাশক ও বীজেও কী জালিয়াতি? উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই প্রশ্ন চাষিদের। চিন্তা বাড়ছে ধান, আলু ও সবজি চাষিদের মধ্যে। 

একের পর এক কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না ফসল। সার্টিফায়েড বীজের ছাপ দেওয়া বস্তায় বীজ কিনে এনে ফলন যা হচ্ছে তা সাধারণ বীজের তুলনায় কোনও অংশে বেশি নয়। বলছেন চাষিরাই। রাজ্যের ধান ও আলু উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া জেলা। এই জেলায় সবজিও কম উৎপাদন হয়না। জেলার চাহিদা মিটিয়েও ধান, আলু ও সবজি রফতানি হয় পার্শ্ববর্তী জেলাগুলি। এমনকী যায় ঝাড়খন্ডেও। কিন্তু, গত দু’দশকে জেলার চাষfদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও বীজের জালিয়াত চক্রের আতঙ্ক। চাষিদের দাবি কিছু ক্ষেত্রে সমবায়ের মাধ্যমে পাওয়া রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলেও বহু ক্ষেত্রে তাঁদের তা কিনতে হয় খোলা বাজার থেকে। একইভাবে কেনা হয় কীটনাশক ও বীজও। কিন্তু আগে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে যে পরিমাণ ফলন হত এখন তা আর হয় না। অগত্যা সার প্রয়োগের মাত্রা বাড়াতে হয়েছে। বড় অংশের চাষিদের অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে রোগ পোকার নিরাময়ে কোনও কাজেই আসছে না বাজার চলতি কীটনাশক। বেগুন চাষে আগে যেখানে একবার কীটনাশক ব্যবহার করলে কমপক্ষে ১০ দিন ফল ছিদ্রকারী পোকা জমির কাছে ঘেঁষতো না। এখন সেখানে একবার প্রয়োগ করলে সেই কীটনাশকের প্রভাব চলে যাচ্ছে ৩ থেকে ৪ দিনেই। 

বীজের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন জেলার ধান চাষিরা। সার্টিফায়েড স্ট্যাম্প দেওয়া বস্তায় যে বীজ সার্টিফায়েড বলে চড়া দামে খোলা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে তার উৎপাদন এতই কম যে তাতে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকের। চাষিদের অনেকেই মনে করছেন, সার্টিফায়েড বীজের সঙ্গে ঝাড়াই বাছাই করে অবাধে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বীজ। এসবেরই প্রভাব পড়ছে চাষের খরচে। চাষিদের দাবি, খারাপ গুণমানের রাসায়নিক সার, কীটনাশক ও বীজ ব্যবহারের ফলে ফলন যেমন হচ্ছে না, তেমনই বেশি প্রয়োগের ফলে খরচ বেড়েছে। উল্টে উৎপাদন আশানরূপ না হওয়ায় লাভের অঙ্ক নেমে এসেছে তলানিতে। তাতেই বাড়ছে উদ্বেগ।