বাঁকুড়া: ২০০৪ সাল কাট টু ২০২৪! আরও একটা মামলা, যার রায়ের দিকে. গোটা বাংলা তো বটেই, গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল। আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রাই। তার ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল সব মহল। কিন্তু, তার ফাঁসি হয়নি, আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাস। কিন্তু সঞ্জয়ের এই সাজা নিয়ে কী বলছেন ধনঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠরা? ধনঞ্জয়ের এক বন্ধু বলেন, “প্রমাণের আগেই ফাঁসি হয়েছিল ধনঞ্জয়ের, তবে তিলোত্তমার ঘটনা আলাদা।”
তিলোত্তমা খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে সঞ্জয় রাইকে ফাঁসি না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন ২০০৪ সালে হেতাল পারেখ হত্যাকান্ডে ফাঁসি হওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের বন্ধুমহল । তাঁদের দাবি, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই হেতাল পারেখ হত্যাকান্ডে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়কে।
তবে তাঁর এক বন্ধুর বক্তব্য, “তিলোত্তমার ঘটনা সম্পূর্ণ আলাদা। এই হত্যাকাণ্ডে সিবিআই-এর তদন্তে খুশি নই। এই ঘটনায় শুধুমাত্র বলির পাঁঠা করা হয়েছে সঞ্জয় রাইকে। এই ঘটনায় যুক্ত অন্যদেরও দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।”
১৯৯০ সালে ১৮ বছরের স্কুল ছাত্রী হেতাল পারেখকে ধর্ষণ খুনে ধনঞ্জয়ের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। কলকাতার আলিপুর জেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। আরজি কর পর্বে ধনঞ্জয় মামলা পুনরায় শুরু করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়। ধনঞ্জয়ের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা আজও মনে করেন, ধনঞ্জয় আসলে এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। সঞ্জয়ও যে একা দোষী নয়, সেকথাও আজও বলছেন ধনঞ্জয়ের বন্ধু।