
বাঁকুড়া: তিলোত্তমার ঘটনার সময় চিকিৎসকদের আন্দোলন দেখেছিল গোটা বাংলা। বিক্ষোভ-অনশন-কর্মবিরতিতে মুখর ছিল এ রাজ্য। কলকাতা সহ জেলায়-জেলায় নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে পথে নেমেছিলেন তাঁরা। এক বছর পর ফের একবার ডাক্তাদের একটি সংগঠন আবারও আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু কেন? এবারের আন্দোলন যদিও তিলোত্তমার জন্য নয়, এবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পথে নামার হুঁশিয়ারি তাঁদের। মূলত,শুনানি পর্বে অসুস্থ, অশীতিপর বৃদ্ধ ও কর্মরত চিকিৎসকদের প্রতি মানবিক আচরণের দাবি তুলে ইতিমধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে ‘সার্ভিস ডক্টর্স ফোরাম’ নামের চিকিৎসকদের ওই সংগঠন। এরপরেও অবস্থার বদল না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই চিকিৎসক সংগঠন।
রাজ্যে এসআইআর-এর শুনানি পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে দিকে দিকে মানুষের হয়রানির ছবি উঠে এসেছে বিভিন্ন জায়গায়। কমিশনের নির্দেশে এই শুনানি পর্বে শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষম, অসুস্থ ও অশীতিপর বৃদ্ধকে দূরবর্তী শুনানি কেন্দ্রে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ এমনকী স্যালাইন, ক্যাথিডার ও রাইলস টিউব লাগানো অসুস্থ মানুষকেও শুনানি কেন্দ্রে হাজির হতে হয়েছে। যে ছবি সম্পূর্ণ ভাবে অমানবিক।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন ৮৫ বছরের বেশি বয়স্ক মানুষদের বাড়িতে গিয়ে শুনানির নির্দেশ দিলেও বহু ক্ষেত্রে তা করা হচ্ছে না। ফলে অশক্ত শরীরে তাঁদেরও হাজির হতে হচ্ছে শুনানি কেন্দ্রগুলিতে। শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষমদেরও শুনানির জন্য তলব করা হচ্ছে। শুনানির জন্য তলব করা হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা কর্মরত চিকিৎসকদেরও। ফলে মার খাচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবা।
রাজ্যের চিকিৎসক সংগঠন সার্ভিস ডক্টর্স ফোরামের দাবি যুদ্ধের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতিতেও গুরুতর অসুস্থ, বৃদ্ধ বৃদ্ধা, শারীরিক ভাবে বিশেষ সক্ষম ও চিকিৎসার মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যুক্ত মানুষকে ছাড় দেওয়া হয়। এসআইআর-এর ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না। অবিলম্বে এই অমানবিক ছবি বদল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই ফ্যাক্স মাধ্যমে মূখ্য নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ জানিয়েছে চিকিৎসকদের ওই সংগঠন। এরপরেও পরিস্থিতির বদল না হলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই সংগঠন।