SSC Recruitment Scam: ‘সবই কপাল’, SSC-র গ্রুপ সি-ডি ‘অযোগ্য’দের তালিকায় নাম TMC নেতা ও তাঁর দাদার

SSC Recruitment Scam Group C-D: চলতি বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত দু’জনেই বহাল তবিয়তে চাকরি করেন , বেতনও পান । কিন্তু চলতি বছর এপ্রিল মাসের পর থেকে আদালতের নির্দেশে স্কুল যাওয়া বন্ধ করেন দু’জনেই । বন্ধ হয়ে যায় বেতনও । বিষয়টি নিয়ে ক্যমেরার সামনে কোনওপ্রকার মুখ খুলতে চাননি তৃনমূলের নেতা আদেশ চট্টোপাধ্যায়।

SSC Recruitment Scam: সবই কপাল, SSC-র গ্রুপ সি-ডি অযোগ্যদের তালিকায় নাম TMC নেতা ও তাঁর দাদার
অযোগ্যের তালিকা থাকা অশিক্ষক কর্মী তৃণমূল নেতাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 03, 2025 | 7:10 PM

বাঁকুড়া: স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আদালতে জমা দেওয়া অযোগ্য গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি র তালিকায় বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতা ও তাঁর দাদার নাম ঘিরে ফের একবার বিতর্ক । জানা গিয়েছে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ও নেতা হিসাবে পরিচিত বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের পাতালখুরি গ্রামের বাসিন্দা আদেশ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর দাদা উত্তম চট্টোপাধ্যায় একই সঙ্গে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস পরীক্ষায় গ্রুপ ডি পদে চাকরি পান।

অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আদেশ চট্টোপাধ্যায় নিজের এবং দাদা উত্তম চট্টোপাধ্যায়ের শুধু চাকরির ব্যবস্থা করেছিলেন তাই নয় , দুজনেরই পোস্টিং ও করে নেন নিজের ঘরের কাছে বাঁকুড়া শহর ও শহর লাগোয়া স্কুলে । আদেশ চট্টোপাধ্যায় গ্রুপ ডি হিসাবে কাজে যোগ দেন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বিকনা ক্ষিরোদপ্রসাদ হাইস্কুলে, অন্যদিকে দাদা উত্তম চট্টোপাধ্যায় গ্রুপ ডি পদে কাজে যোগ দেন বাঁকুড়া শহরের হিন্দু হাইস্কুলে।

চলতি বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত দু’জনেই বহাল তবিয়তে চাকরি করেন , বেতনও পান । কিন্তু চলতি বছর এপ্রিল মাসের পর থেকে আদালতের নির্দেশে স্কুল যাওয়া বন্ধ করেন দু’জনেই । বন্ধ হয়ে যায় বেতনও । বিষয়টি নিয়ে ক্যমেরার সামনে কোনওপ্রকার মুখ খুলতে চাননি তৃনমূলের নেতা আদেশ চট্টোপাধ্যায়।

তবে তাঁর দাদা উত্তম চট্টোপাধ্যায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দুই ভাইয়ের চাকরি পাওয়ার তত্ত্ব সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন। উত্তম চট্টোপাধ্যায়ের দাবি তাঁরা যোগ্য । এবং পরীক্ষা দিয়েই তাঁরা চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন । তাহলে কেন এস এসসির তরফে আদালতে জমা দেওয়া অযোগ্যদের তালিকায় তাঁদের নাম ? চাকরি হারানো উত্তম চট্টোপাধ্যাইয়ের সাফাই, “সবই ভাগ্য। আদালতে মামলা এখনও বিচারাধীন। নিশ্চিতভাবেই একদিন না একদিন আদালতে নিজেদের যোগ্য হিসাবে প্রমাণ করতে পারব।”