Flood Situation: মানসের পর মলয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের কাঠগড়ায় সেই DVC

Flood Situation: এদিন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে সঙ্গে নিয়ে তালডাংরা ব্লকের ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচমুড়া এলাকায় যান মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখান থেকেই ক্ষোভ উগরে দেন ডিভিসির বিরুদ্ধে।

Flood Situation: মানসের পর মলয়, রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের কাঠগড়ায় সেই DVC
মলয় ঘটক Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Jun 21, 2025 | 6:40 PM

তালডাংরা: আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। এবার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ঘুরিয়ে সেই ডিভিসির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের আর এক মন্ত্রী মলয় ঘটক। এদিন বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান তিনি। তাঁর দাবি পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই ডিভিসি জল ছাড়লেই এমন বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। 

সম্প্রতি ভারী বৃষ্টিতে বাঁকুড়া-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জয়পণ্ডা নদীর জল ঢুকে এবং বৃষ্টির জল জমে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। এদিন বাঁকুড়ার সাংসদ অরূপ চক্রবর্তী ও রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডিকে সঙ্গে নিয়ে তালডাংরা ব্লকের ক্ষতিগ্রস্থ পাঁচমুড়া এলাকায় যান মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে একটি ত্রাণ শিবির পরিদর্শন করে দুর্গতদের হাতে ত্রাণের টোকেন তুলে দেন। এরপরই বামেদের একহাত নিতে দেখা যায় তাঁকে। খোঁচা দিয়ে বলেন, আগের বাম সরকারের আমলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে মানুষকে গাছের উপরে উঠে বসে থাকতে হত। এখন সেই পরিস্থিতি নেই। রাজ্য সরকার দুর্গতদের শুধু ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দিয়েই দায় সারেনি, সব রকমভাবে দুর্গতদের পাশে রয়েছে। ফের ভারী বৃষ্টি বা বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলেও তার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত আছে”। এরপরই ক্ষোভ উগরে দেন ডিভিসির বিরুদ্ধে। 

ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে মলয়ের দাবি, এ রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য নদী বা খালের নাব্যতা কমে আসা বা অন্য কোনও কারণ দায়ী নয়। তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের জলাধারগুলি থেকে ডিভিসি জল ছেড়ে দেওয়ার ফলেই এমন বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাঁর যুক্তি দক্ষিণবঙ্গর নদীগুলি একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। তাই ডিভিসির জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়া হলে তা ওভারফ্লো করে এই নদীগুলিতে চলে এসে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করছে”। একদিন আগেই আবার দুর্গাপুর ব্যারেজ পরিদর্শনে যান রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তাঁর অভিযোগ, পলি জমে জমে গভীরতা কমেছে ব্যারেজগুলির। সে কারণেই কমেছে জলধারণ ক্ষমতা। কেন্দ্রকে বারবার বলা হলেও কোনও কাজ হয়নি। যার জেরেই বানবাসি হচ্ছে বাংলা।