বাঁকুড়া: লাগাতার প্রচার কর্মসূচি। পোস্টারিং, কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি। তারপরেও যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না জঙ্গলের অগ্নিকাণ্ড। শুশুনিয়া পাহাড়ের পর এবার রানিবাঁধের বারো মাইল জঙ্গলে লাগলো আগুন। ঝরা শুকনো পাতায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। খবর পেতেই তড়িঘড়ি ব্লোয়ার নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বন দফতর। রাতভর চলে জঙ্গলে আগুন নেভানোর কাজ।
গত সপ্তাহেই বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাহাড়ে আগুন এতটাই ভয়াবহ আকার নেয় যে তা কার্যত দাবানলে পরিণত হয়। প্রায় ২৪ ঘণ্টার চেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই এবার বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের বারো মাইলের জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
গতকাল সন্ধ্যার মুখে জঙ্গলের শুকনো ঝরা পাতায় আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই খবর দেন বন দফতরের। বন দফতরের কর্মীরা ব্লোয়ার হাতে আগুন নেভানোর কাজে নামেন। কিন্তু ততক্ষণে জঙ্গলের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। বন কর্মীরা ব্লোয়ার দিয়ে ঝরা পাতার স্তুপ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যান।
এমনিতে বন্যপ্রাণ সমৃদ্ধ বনাঞ্চল হিসাবে পরিচিত বারো মাইল জঙ্গল। এই জঙ্গলে হরিণ, ময়ুর, বুনো শুকর, সজারু ছাড়াও বহু জীবজন্তু, পাখি ও সরিসৃপ রয়েছে। এমন বনাঞ্চলে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে সে ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে বন দফতর। সঠিক তথ্য প্রমাণ পেলে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে বন দফতর।
বন কর্মী বলেন, “সবার কাছে অনুরোধ যেন জঙ্গলে আগুন না লাগায়। এখানে অনেক ওষুধের গাছ আছে। অনেক ফল মুলের গাছ আছে সব নষ্ট হয়ে গেছে।”