Snake Recovered: পশ্চিম ভারতের বিরল প্রজাতির সাপ নিয়ে লোক ঠকানোর ফাঁদ! শেষমেশ পর্দাফাঁস

Hirak Mukherjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Sep 16, 2023 | 12:56 PM

Snake Recovered: নির্বিষ হলেও কালোবাজারে এই সাপ দুর্মূল্য হিসাবে পরিচিত। বন দফতর জানিয়েছে চোরাবাজারে এই ধরনের এক একটি সাপের দাম পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু পশ্চিম ভারতের এই সাপ কীভাবে এল এই সাপুড়েদের হাতে?

Snake Recovered: পশ্চিম ভারতের বিরল প্রজাতির সাপ নিয়ে লোক ঠকানোর ফাঁদ! শেষমেশ পর্দাফাঁস
বিরল প্রজাতির সাপ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: পশ্চিম ভারতের একটি বিশেষ প্রজাতির সাপ রেড স্যান্ড বোয়া। গ্রামে খেলা দেখিয়ে বেরাচ্ছিলেন দুই সাপুড়ে। সঙ্গে সেই সাপের নানারকম বুজরুকির গল্পও দিচ্ছিলেন। লোক ঠকানোর ব্যবসা ফেঁদে বসেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে দুই সাপুড়েকে গ্রেফতার করেছে বন দফতর। ঘটনা বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বাবুরগেড়িয়া গ্রামের। ধৃত দু’জনকে বন দফতর বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে পেশ করলে আদালত তাঁদের ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জয়পুর থানার বাবুরগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা শাজাহান খান ও রাজু আলি খানের পুরানো ব্যবসা সাপের খেলা দেখানো। কিছুদিন আগে বন দফতর সাপের খেলা দেখানোর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরও কড়াভাবে জারি করে। তবে সেই ব্যবসা ছাড়েনি ওই দুই সাপুড়ে। গোপনে বেশ চলছিল গ্রামে ঘুরে ঘুরে সাপের খেলা দেখানো। সাপ সংক্রান্ত বিভিন্ন বুজরুকি করে চলছিল লোক ঠকানোর কাজও। আর এক্ষেত্রে তাদের মূল অস্ত্র ছিল সঙ্গে থাকা পশ্চিম ভারতের একটি বিশেষ প্রজাতির সাপ। বন দফতর জানিয়েছে, বিশেষ প্রজাতির ওই সাপের নাম রেড স্যান্ড বোয়া। বাংলায় লাল বালি বোড়া সাপ নামে পরিচিত হলেও এই সাপ পূর্ব ভারতে তেমন একটা দেখা যায় না। রাজস্থানের মরুভূমি এলাকাতেই এই ধরনের সাপ দেখা যায়।

নির্বিষ হলেও কালোবাজারে এই সাপ দুর্মূল্য হিসাবে পরিচিত। বন দফতর জানিয়েছে চোরাবাজারে এই ধরনের এক একটি সাপের দাম পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু পশ্চিম ভারতের এই সাপ কীভাবে এল এই সাপুড়েদের হাতে? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বন দফতর জানতে পেরেছে, রেড স্যান্ড বোয়া প্রজাতির সাপটি এই সাপুড়েরা কিনেছিল দুর্গাপুর থেকে। ইতিমধ্যেই বন দফতর দুর্গাপুর বন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বন দফতরের প্রাথমিক ধারণা আন্তরাজ্য বণ্যপ্রাণ চোরাচালানের মাধ্যমেই এই সাপটি সাপুড়েদের হাতে এসে থাকতে পারে। ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চোরাচালান চক্রের হদিশ পেতে চাইছে বন দফতর।

Next Article