বাঁকুড়া: সামনেই ভোট। তবে তার আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে শাসকদলের জয়ের খবর সামনে আসেছে। কখনও উত্তর ২৪ পরগনা, কখনও পূর্ব মেদিনীপুর, কখনও জলপাইগুড়িতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় তৃণমূলের।
এবারের ঘটনাস্থল বাঁকুড়া। সেখানে চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল শাসক শিবির। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিরোধীরা প্রার্থী না দেওয়ায় জয় পেয়েছে তৃণমূল। শনিবার ছিল মনোনয়নের স্কুটিনি পর্ব। আর তা মিটতেই জয়ের উল্লাসে ফেটে পড়ে ঘাসফুল শিবির। শুরু হয় আবির খেলা ও মিষ্টিমুখ। যদিও, তৃণমূলের এই জয়কে ‘নারকীয়’ বলে কটাক্ষ শাসকদলের।
বস্তুত, সালটা ছিল ২০১৯। লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। এরপর ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর মহকুমার সোনামুখী, ইন্দাস, কোতুলপুর ও বিষ্ণুপুর এই চারটি বিধানসভার প্রতিটিতেই জয়ী হয় বিজেপি। কিন্তু গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিষ্ণুপুর মহকুমাতেই কার্যত ধরাশায়ী হতে হল বিজেপি সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলিকে।
বিষ্ণুপুর মহকুমার বিষ্ণুপুর ও সোনামুখী এই দুটি পঞ্চায়েত সমিতি বাদ দিলে বাকি চারটি পঞ্চায়েত সমিতি বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় দখল করল তৃণমূল। ইন্দাস, পাত্রসায়র, জয়পুর ও কোতুলপুর এই চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হওয়াই নয়, ওই পঞ্চায়েত সমিতিগুলির অন্তর্গত মোট ৩৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনেও জয় পায় তৃণমূল। চারটি পঞ্চায়েত সমিতি ও ৩৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
স্বাভাবিক ভাবেই আজ স্ক্রুটিনি পর্ব মিটতেই আনন্দ ও উচ্ছাসে মেতে ওঠে ঘাসফুল শিবির। বিজেপির দাবি সন্ত্রাস করে বিরোধীদের মনোনয়ন রুখে দিয়ে এই জয় হাসিল করেছে শাসকদল। যদিও সন্ত্রাসের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি বিরোধীরা সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে প্রার্থী দিতে না পেরে এখন তৃণমূলের ঘাড়ে মিথ্যা অভিযোগ চাপানোর চেষ্টা করছে।