
বাঁকুড়া: জেলায় জেলায় ডুবেছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। ঘাটাল থেকে আরামবাগ, খানাকুল, সর্বত্রই একই ছবি। লাগাতার বৃষ্টিতে বাঁকুড়াতেও সবজি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু ক্ষতি যত না হয়েছে তার তুলনায় সবজির দাম বেড়েছে অনেকটাই। অভিযোগ উঠেছিল তারপরেও নির্বিকার টাস্ক ফোর্স। কয়েকদিন আগে এই খবর তুলে ধরেছিল টিভি নাইন বাংলা। অবশেষে আসরে নামতে দেখা গেল টাস্ক ফোর্সের কর্তাদের। সবদির লাগামঠাড়া দাম বৃদ্ধির পিছনে টিভি ৯ বাংলার তত্ত্বেই সিলমোহর দিল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।
রাজ্যের সবজি উৎপাদক জেলাগুলির মধ্যে অনেকটাই উপরের দিকে থাকে বাঁকুড়া। জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে এই জেলা থেকে বিপুল পরিমাণ সবজি প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান এমনকি ঝাড়খণ্ডেরও বিভিন্ন বাজারে যায়। চলতি বছর বর্ষা শুরু হতেই লাফ দিয়ে বাড়তে শুরু করে সবজির দাম। খুচরো বাজারে কোনও কোনও সবজির দর তিন গুণ আবার কোনও সবজীর দর চার থেকে পাঁচ গুণ বেড়ে যায়। পকেটে টান পড়তে থাকে মধ্যবিত্তের। কালোবাজারি রুখতে টাস্ক ফোর্স থাকলেও তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে সাধারণ মানুষ। টিভি৯ বাংলা খবর করতেই নড়েচড়ে বসে বাঁকুড়া জেলা টাস্ক ফোর্স।
এদিন বাঁকুড়ার লালবাজার সানঘাট বাজারে হানা দিতে দেখা দেল টাস্ক ফোর্সের কর্তাদের। কথা বলেন পাইকারি ও খুচরো সবজি বিক্রেতা। কথা বলেন ক্রেতাদের সঙ্গেও। টাস্ক ফোর্সের দাবি চাষির কাছ থেকে পাইকারি বাজার ঘুরে সবজি খুচরো বাজারে আসার পথেই তার দাম দ্বিগুণ বা তার বেশি হয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে খুচরো ব্যবসায়ীদের লাভের হারও বেঁধে দিয়েছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। সে কথা স্পষ্টতই জানান টাস্ক ফোর্সের সদস্য তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের কৃষি কর্মধ্যক্ষ বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত। এবার কি সবজির দাম একটু কমবে? আশায় সাধারণ মধ্যবিত্ত গৃহস্থ। তবে খুচরো ব্যবসায়ীদের দাবি যে হারে সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে। তাই তা বাড়ছেই।
বেগুন আগে বিক্রি হচ্ছিল ৪০ টাকায়, এখন তা উঠে গিয়েছে ৮০ টাকায়। পটল আগে যা বিক্রি হচ্ছি ৩০ টাকায়, এখন ৪০। লঙ্কা ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় উঠেছে। ক্যাপসিকামও তাই। ঝিঙ্গে ৪০ টাকা থেকে উঠেছে ৮০ টাকায়। করলা ৪০ টাকা থেকে উঠেছে ৮০ টাকায়। শসা আগে যা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল তা এখন ৬০। এখন টাস্ক ফোর্সের ভিজিটের পরে পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটাই দেখার।