Bankura Case: হঠাৎই মুখে গামছা চেপে ধরল ‘রোমিও’, রাস্তার ধারে হ্যাঁচকা টান! কুমতলব বুঝে ছাত্রীর চিৎকারের পরই…
Bankura: এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকার এক যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই অন্য গ্রামে এসে মেয়েদের উত্যক্ত করছিলেন।
বাঁকুড়া: দিনের পর দিন এলাকার মেয়েদের বিরক্ত করে বাইরের কিছু ছেলে। পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই ইন্দপুর থানা এলাকার লোকজন নিজেরাই ময়দানে নামলেন। এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করায় যুবককে মারধর করেন স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে আটকে রেখে খবর দেন ইন্দপুর থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের দু’টি গাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, বাঁকুড়ার ওন্দা থানা এলাকার এক যুবক বেশ কিছুদিন ধরেই অন্য গ্রামে এসে মেয়েদের উত্যক্ত করছিলেন। সঙ্গে আবার আরও ছেলে নিয়ে আসতেন। মেয়েরা স্কুল, কলেজ কিংবা টিউশনে গেলেই নানারকম এদিক ওদিক কথা বলতেন। সোমবার এক ছাত্রী সাইকেল নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। ওই ছাত্রীর মুখে গামছা চেপে ধরে রাস্তার ধারে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এরপরই ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন।
প্রবীর কোঙার নামে এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, “স্কুল যায় মেয়েগুলো। গ্রামের বাইরের কিছু ছেলে এসে খারাপ কথা বলে। প্রায়ই হয় এরকম। থানাতেও জানাই আমরা। পুলিশ গ্রামেও এসেছিল। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করেনি। আজ আমরা একটা ছেলেকে ধরেছি। পুলিশ নিয়ে গেছে। গ্রামের লোকজনই ধরেছিল। আমরা বারবার বলেছিলাম, একই অভিযোগ যখন উঠছে, এখানে পুলিশি পাহারা বসানো হোক। কিছুই হল না। বাধ্য হয়েই গ্রামের মেয়েরা আজ ধরেছে একজনকে।”
আরেক বাসিন্দা সৌরভ কোঙারের কথায়, “আমাদের গ্রামের মানুষের বহুদিনের ক্ষোভ ছিল এটা নিয়ে। মেয়েগুলো রাস্তায় বেরোতে পারে না, এটা কেউ কেন মানবে? প্রশাসন কোনও কিছুতেই গা করে না। গ্রামের লোকজন খুবই রেগে ছিল এটা নিয়ে। আজ তাই একজনকে ধরা হয়।”
অভিযোগ, এদিন খবর পেয়ে ইন্দপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার লোকজন। অভিযোগ এই সময় উত্তেজিত জনতা পুলিশের দু’টি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী ও উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযুক্তকে আটক করে ইন্দপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের তরফ থেকে ইন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।