West Bengal Assembly: অতীতেও তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ বিধানসভা; বিধায়কদের কাছে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি নতুন নয়…

West Bengal: ২০১৭, ২০১২, ২০০৬ তোলপাড় হয়েছিল বিধানসভা।

West Bengal Assembly: অতীতেও তোলপাড় হয়েছে বঙ্গ বিধানসভা; বিধায়কদের কাছে হাতাহাতি, ধস্তাধস্তি নতুন নয়...
বিধানসভার অধিবেশন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2022 | 6:31 PM

কলকাতা: সোমবার বিধানসভার (West Bengal Assembly) চলতি অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। সংবিধানের এই পীঠস্থানে এদিন যা ঘটল তাতে তাজ্জব গোটা নাগরিক সমাজ। সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে যাঁদের রাজ্যের আইনসভায় পাঠিয়েছেন, তাঁদের এমন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এদিন বিধানসভায় বিজেপি ও তৃণমূলের বিধায়করা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। অকথ্য শব্দপ্রয়োগ থেকে কলার ধরে টানাটানি, রক্তপাত সমস্ত কিছুই ঘটেছে বিধানসভায়। একে অপরকে দোষারোপ করে আপাতত সুর চড়াচ্ছে শাসক-বিরোধী পক্ষ। তবে সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে বুঝছেন, কাদের হাতে তাঁদের ভার পড়েছে। যদিও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনীতির কারবারিদের কাছে এসব নতুন কিছু নয়। শৃঙ্খলা-শালীনতার সীমা পার করার অভ্যাস রয়েছে তাঁদের। ভোট আসলে সে ছবি তো দেখাই যায়। আর এ রাজ্যে বিধানসভাতেও এমন ঘটনার নজির আছে।

২০১৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। সম্পত্তি ভাঙচুরের বিহিতের জন্য বিধানসভায় বিল আসে। সেই বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। আব্দুল মান্নানের সঙ্গে বিধানসভার রক্ষীদের ধস্তাধস্তিরও অভিযোগ ওঠে। একদিনের জন্য আব্দুল মান্নানকে সাসপেন্ডও করা হয়। এদিকে ধস্তাধস্তির পর আব্দুল মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হয়।

২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর। সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর চোয়াল ভেঙে যায় গোলমালের জেরে। অভিযোগ ছিল, শাসকদলের বিধায়করা মেরেছিলেন তাঁকে। ওই একই দিনে দেবলীনা হেমব্রমকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। পেটে ঘুষি মারা হয়। আছড়ে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সূত্রপাত, সিপিএমের দেবলীনা হেমব্রমের সঙ্গে তৃণমূলের বিধায়ক মাহমুদা বেগমের কথা কাটাকাটি থেকে। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের ধীমান রায়ও আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিন বাম বিধায়ককে সাসপেন্ডও করা হয়েছিল।

২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর। বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনার ছবি সেদিন গলায় ঝুলিয়ে কক্ষে প্রবেশ করেছিলেন বিরোধী বাম-কংগ্রেস বিধায়করা। তা নিয়ে গোলমাল শুরু হয়। সেই ঘটনায় কংগ্রেসের এক বিধায়কের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সিপিএমের জাহানারা খানও আক্রান্ত হন। সেদিন তৃণমূলের তরফে ফ্লোরে নেমে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ছিল শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: Physical Assault of Minor Girl: কিশোরীর কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে হাত পা বেঁধে চলল নির্যাতন! ঘৃণ্য নৃশংসতা মালদহে

আরও পড়ুন: West Bengal Assembly: বিধায়কদের তুমুল হাতাহাতি, পাহাড় থেকেই ফিরহাদকে ফোন মমতার