Bankura: পুজোয় লাখ লাখ বরাদ্দ, রাস্তা থেকে স্কুলের হাল ফিরবে কবে? প্রশ্ন ঘুরছে বাঁকুড়ার গ্রামে গ্রামে

Bankura: বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এলাকার বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি শিশুরা ভোটার নয়, তাই তাদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্যই থাকছে। অথচ সরকারি টাকায় দেদার মেলা, খেলা, উৎসবের অনুদানের নামে চলছে ভোটের রাজনীতি।

Bankura: পুজোয় লাখ লাখ বরাদ্দ, রাস্তা থেকে স্কুলের হাল ফিরবে কবে? প্রশ্ন ঘুরছে বাঁকুড়ার গ্রামে গ্রামে
প্রশ্ন ঘুরছে গ্রামে গ্রামে Image Credit source: TV 9 Bangla

| Edited By: জয়দীপ দাস

Aug 02, 2025 | 7:55 PM

বাঁকুড়া: দুর্গাপুজোর জন্য পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিতে রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছে কোটি কোটি টাকা। ক্লাব প্রতি দেওয়া হবে ১ লাখ ১০। তা নিয়ে আক্রমণ শানিয়েই যাচ্ছে বিরোধীরা। রাজ্যের উন্নয়নের খাতে টাকা ব্যয় না করে, সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ না দিয়ে এই ব্যয় কেন তা নিয়ে তুলছে প্রশ্ন। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের অত্যন্ত সমৃদ্ধ গ্রাম কেঞ্জাকুড়া। গ্রামে একাধিক দুর্গাপুজা হয়। তার বেশিরভাগই বছরের পর বছর ধরে পেয়ে আসছে সরকারি অনুদান। এখানেই রয়েছে ধগড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। 

বিরোধীরা বলছেন, সামান্য সরকারি বদান্যতা পেলেই ফিরে যেত স্কুলের হাল। স্কুলে ৬ টি ক্লাসরুমের মধ্যে ৪ টি ক্লাসরুমেরই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে। ক্লাসরুমের পলেস্তরার চাঙড় খসে পড়ে মাঝেমধ্যে। দরজা জানালার বেশিরভাগই খোলা যায় না। বাকি ২টি ক্লাসরুমে কোনওক্রমে ৬৩ জন পড়ুয়াকে বসিয়ে চলে পঠন-পাঠন। শিশু শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি, এই পাঁচটি ক্লাসের জন্য বরাদ্দ মাত্র ২ জন শিক্ষক। স্কুলে শৌচালয়ের দেওয়াল ভেঙে বেহাল অবস্থা। দুর্ঘটনার ভয়ে সেই শৌচালয়ে শিশুদের যেতে দেন না শিক্ষকরা। স্কুলে দু’টি নলকূপ থাকলেও দুটির জলই পানের অযোগ্য বলে অভিযোগ। 

অভিযোগের এখানেই শেষ নয়। সবথেকে খারাপ অবস্থা স্কুলে যাতায়াতের রাস্তার। স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় এমন কাদা জমে যে জুতো পরে স্কুলেই যেতে পারে না পড়ুয়ারা। বাড়ি থেকে চপ্পল পরে বেরোলেও স্কুলের পথে সেই চপ্পল উঠে আসে হাতে। একইভাবে পাশে থাকা ধগড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্রেও পৌঁছায় শিশুরা। কিন্তু কেন এমন নেই রাজ্য ধগড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় বা পার্শ্ববর্তী ধগড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্র। অভিভাবকদের দাবি পুজোর অনুদান না পেলে হয়তো দু এক বছর পুজোর জেল্লা কমবে। কিন্তু সামান্য অনুদান পেলে স্কুলের হাল বদলাতে পারে। বদলাতে পারে তাঁদের শিশুগুলির পঠনপাঠনের মান। তাই শিক্ষার হাল ফেরানোর দিকে নজর দেওয়া আশু প্রয়োজন সরকারের।

বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার স্পষ্ট কথা, শিশুরা ভোটার নয়, তাই তাদের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্যই থাকছে। অথচ সরকারি টাকায় দেদার মেলা, খেলা, উৎসবের অনুদানের নামে চলছে ভোটের রাজনীতি। তিনি বলছেন, ক্লাবে টাকা দিন অসুবিধা নেই, তার সঙ্গে উন্নয়নেও জোর দেওয়া দরকার। সিপিএমের দাবি, যে শিক্ষা শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যেতে পারে সেদিকে নজর নেই রাজ্য সরকারের। উৎসবের অনুদানের ঢক্কানিনাদে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি। তবে বিরোধীদের অভিযোগ মানতে নারাজ রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের দাবি, দুটোই সমান্তরালভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে বিপুল উন্নয়নের পাশাপাশি পুজোর অনুদানের প্রতিও নজর দিয়েছে রাজ্যের সরকার।