উত্তর ২৪ পরগনা: ডিমের ওমলেট করতে গিয়েছিলেন শিক্ষিকা। চামত দিয়ে ডিমের খোলায় ঠোকা দিতেই গলগলিয়ে বের হতে থাকে রক্ত। ভয়ে হাত কেঁপে ওঠে শিক্ষিকার। ডিম ফেলে দেন। ডিম দিয়ে রক্ত? এ আবার হয় নাকি! আরেকটা ডিম ফাটান। আবারও একই ঘটনা। কী ব্যাপার! ডিম ফাটালে বেরোচ্ছে রক্ত। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বেলঘরিয়া ইন্দ্রপুরী এলাকার শিক্ষিকার পরিবার।
বুধবার বাড়িতে রান্না করছিলেন বেলঘরিয়া ত্রিভাষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মজুমদার। রান্না করার সময় ডিম ফাটিয়ে ওমলেট করতে গিয়েছিলেন। অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয় তাঁর। ডিম ফাটানোর পর থেকেই প্রচুর পরিমাণে রক্ত বের হতে থাকে। এই ঘটনার পর শিক্ষিকা-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা যথেষ্ট আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেলঘরিয়া ইন্দ্রপুরী এলাকার শিক্ষিকার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত হন। ততক্ষণে খবর চাউর হয়ে পড়ে এলাকাতেও। পড়শিরাও শিক্ষিকার বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তাঁরাও স্তম্ভিত।
কেন ডিম ফাটালে রক্ত বের হচ্ছে, তা বুঝেই উঠতে পারছিলেন না তাঁরা। এদিকে যাঁর থেকে ডিমের ট্রে কিনে এনেছিলেন, তিনি তো এই কথা মানতেই নারাজ। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয় ওই এলাকায়।
ভেটারনিটি ডাক্তারদের মতে, এই ডিম গুলি ফারটিলাইজার ডিম। অতিরিক্ত গরমে প্রিজারভেশানের অভাবে ডিম গুলি এইরকম আকার নিয়েছে। তবে এই ডিম না খাওয়াই ভাল বলে পরামশ’ দিচ্ছেন প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ মিহির বিশ্বাস।
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, “আমি ওই ছবিটা দেখে বুঝলাম, ডিমের কুসুমের সঙ্গে রক্তটা দেখা যাচ্ছে। ডিমের চাহিদা বেশি। তাই ফার্ম থেকে ডিমগুলো মার্কেটে এসেছে। যে তাপমাত্রায় জাইগোট থেকে ভ্রূণ তৈরি হয়, সেটা মৃত হয়ে গিয়েছিল সেই সময়েই। তাপমাত্রা বেশি থাকার জন্য বিকাশ ঘটেনি।”