West Bengal Election 2021: রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোটারদের মনোবল বাড়াতে চলবে টহল

West Bengal Election 2021: ভোট ঘোষণা হওয়ার কথা আগামী সপ্তাহেই। রাজ্যে কবে নির্বাচন, ক’দফায় নির্বাচন হতে পারে, কত শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, তা জানানো হবে তখনই।

West Bengal Election 2021: রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভোটারদের মনোবল বাড়াতে চলবে টহল
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Feb 20, 2021 | 11:23 AM

পশ্চিম বর্ধমান: এখনও ভোট (West Bengal Election 2021) ঘোষণা হয়নি। তার আগেই রাজ্যে পৌঁছল কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force)। ১২ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে শনিবার সকালে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছয় দুর্গাপুরে (Durgapur)। সেখানে দু’ কোম্পানি সিআরপিএফ জওয়ান নামেন। এরপর ট্রেন রওনা দেয় বর্ধমানের দিকে। প্রাথমিকভাবে ১২ কোম্পানি এলেও এবার বঙ্গের ভোট-পাহারায় মোতায়েন থাকবে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ-এর পাশাপাশি থাকবে এসএসবি, আইটিবিপিও। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আরও কয়েক কোম্পানি এসে পৌঁছবে রাজ্যে। খুব শীঘ্রই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার কথা। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরই টহল শুরু করবেন জওয়ানরা।

এদিন সকালে দুর্গাপুর স্টেশনে নামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই কোম্পানি। এদের মধ্যে এক কোম্পানি যাবে বাঁকুড়ায়, অপর কোম্পানির গন্তব্য বীরভূম। দুর্গাপুর থেকে ট্রেন রওনা দেবে বর্ধমানের দিকে। সেখানেই নামবে আরও এক কোম্পানি। এরপর ট্রেন পৌঁছবে ডানকুনিতে। সেখানে নামবে পাঁচ কোম্পানি। বাকি ৪ কোম্পানি নামবে কলকাতা স্টেশনে।

ভোটের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে রাজ্যের শাসকদল। ভোট ঘোষণার আগে কী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, ভোটারদের মনোবল বাড়াতেই আগেভাগে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আগমন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও বাহিনী এসে পৌঁছবে। প্রাথমিকভাবে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি চালাবে তারা।

আরও পড়ুন: যশ বিজেপিতে যাওয়ার পর নুসরত কোন পথে, জানালেন নিজেই

এর আগে বঙ্গ সফরে এসে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। নির্বিঘ্নে ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার সবরকম আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাও জানিয়েছেন, এবার ভোটে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। আগেভাগে বাহিনীর আগমনে সে বার্তাই আরও প্রকট হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে টহলদারি চালাবে এই জওয়ানরা। মূলত ভোটারদের মনোবল বাড়ানোই লক্ষ্য। ভোটাররা যাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন সে কারণেই এই বাহিনীর টহল বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।