বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে চালু হল অক্সিজেন পার্লার, থাকছে বিনামূল্যে ডাক্তারি পরিষেবা, টেলিমেডিসিনের সুবিধা
পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, "মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee) অনুপ্রেরণায় এই অক্সিজেন পার্লার চালু হল। আপাতত ছয়টি শয্যা নিয়ে এই পার্লার চালু হলেও যাতে আরও সংখ্যাটা বাড়ানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি।"
উত্তর ২৪ পরগনা: বেলাগাম করোনা (corona) সংক্রমণে রাশ টানতে উদ্যোগী হল বনগাঁ পৌরসভা। চালু করা হল ৬ শয্যা বিশিষ্ট অক্সিজেন পার্লার। মঙ্গলবার, বনগাঁ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর এস ডি পি ও অশেষ বিক্রম দস্তিদার ও পৌরপিতা শঙ্কর আঢ্য।
এদিন, অক্সিজেন পার্লারের উদ্বোধন প্রসঙ্গে, পৌর প্রশাসক শঙ্কর আঢ্য জানান, বনগাঁর সাধারণ মানুষের কথা ভেবে এই অক্সিজেন পার্লার (oxygen Parlor) চালু হল। মোট ছয়টি শয্যা বিশিষ্ট এই অক্সিজেন পার্লারে করোনা আক্রান্ত রোগীরা যেমন এসে থাকতে পারবেন তেমনই কারোর অক্সিজেন সিলিন্ডার দরকার হলে পার্লার থেকেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে অক্সিজেন। শুধু তাই নয়, বিনামূল্য়ে দেওয়া হবে অক্সিমিটারও। এছাড়া, এই পার্লারে বেলা বারোটা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট চিকিৎসকেরা। থাকবে টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাও। এছাড়াও, দিনভর চালু থাকবে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা।
পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অনুপ্রেরণায় এই অক্সিজেন পার্লার চালু হল। আপাতত ছয়টি শয্যা নিয়ে এই পার্লার চালু হলেও যাতে আরও সংখ্যাটা বাড়ানো যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। এছাড়াও. বনগাঁতে দিদির উদ্যোগে আমরা তিনশো বেডের একটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করতে পেরেছি। এমনকী, করোনায় মৃত রোগীদের জন্যা একটি আলাদা করে শ্মশান ঘাটও তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। বনগাঁর মানুষদের জন্য ২৪ ঘণ্টা এই অক্সিজেন পার্লার কাজ করবে।”
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য দফতরের মঙ্গলবারের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৭ হাজার ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যা গত কালকের তুলনায় অনেকটাই কম। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৭ হাজার ৮৮৩ জন। কিন্তু সোমবারের তুলনায় বেড়েছে মৃত্যু। এ দিন ১৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১৫৩। রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তদের সংখ্যা প্রায় দু’হাজার কমে এ দিন হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৮৫। সুস্থহার হার ৮৮.৮৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ আরও নিম্নমুখী, তবে ভাবাচ্ছে মৃত্যুর হার