বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ আরও নিম্নমুখী, তবে ভাবাচ্ছে মৃত্যুর হার
রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউনে কিছু সুফল মিলছে। দৈনিক সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। কিন্তু কোনওভাবেই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না মৃত্যুর গতিকে (West Bengal Corona Update)।
কলকাতা: রাজ্য জুড়ে কার্যত লকডাউনে কিছু সুফল মিলছে। দৈনিক সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। কিন্তু কোনওভাবেই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না মৃত্যুর গতিকে (West Bengal Corona Update)।
দেশে দৈনিক আক্রান্ত নামল ২ লক্ষের নীচে। একদিনে মৃত ৩,৪৯৮। লক্ষ্যণীয়ভাবে বাংলাতেও কমেছে দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৭, ৮৮৩। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৩ জন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৩,১২১। মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।
অনেকের মতে, লকডাউনের বিধিনিষেধের ফলে রাজ্যে নতুন সংক্রমণ কিছুটা হলেও কমেছে। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতায় দৈনিক আক্রান্ত যথাক্রমে ৩ হাজার ৭৯৩ ও ৩ হাজার ১২১। এসবের মধ্যে একটি বিষয় উল্লেখ্য, দিন পনেরো ধরে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার পার করছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় তা অনেকটাই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কার্যত লকডাউনের জন্যই দৈনিক সংক্রমণের হার নিম্নমুখী।
উল্লেখ্য, কোভিশিল্ড-এর পর মঙ্গলবারই রাজ্যে এল ৭৫ হাজার ডোজ় কোভ্যাক্সিন। কেন্দ্রের তরফে পাঠানো হল এই পরিমাণ ভ্যাকসিন। রাখা হয়েছে বাগবাজারের সেন্ট্রাল ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার স্টোরে। গত শুক্রবার থেকেই নয়া পদ্ধতি নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পেশার ভিত্তিতে দিন নির্ধারিত করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দিঘা থেকে ৪৫০ কিমি দূরে ইয়াসের অবস্থান! কোন জেলাগুলিতে জারি হল লাল সতর্কতা, কোথায়ই বা কমলা সতর্কতা?
সমাজের যে সব পেশার মানুষরা সবচেয়ে বেশি মানুষের কাছাকাছি আসেন, যেমন হকার, সবজি ও মাছ বিক্রেতা, নিউজ পেপার বিক্রেতা, মুদি দোকানদার- তাঁদের প্রত্যেককেই অগ্রাধিকারের তালিকায় রাখা হয়েছে। তাঁদেরকে সুপার স্প্রেডার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাঁদের রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গল-বুধ ও রবিবার কোনও টিকাকরণ হবে না। সংক্রমণে রাশ টানতে টিকাকরণ ও কোভিড টেস্টের কথা বললেও শুধু রাজ্যে নয় দেশ জুড়েই টিকার জোগান অপ্রতুল।