Pakistan: পাকিস্তানের একটা ভুল চালের অপেক্ষা করছে ভারত, ইসলামাবাদের বাড়বাড়ন্ত কি এবার বন্ধ হবে?

Pakistan: পাক সংবাদপত্র 'দ্য ডন' ও 'এক্সপ্রেস ট্রিবিউন' ভারতের টার্গেট কিলিং নিয়ে নিয়মিত খবর করছে। দুটো সংবাদপত্রই একটা বিষয়ে একমত। ভারতের শীর্ষকর্তারা পুরো বিষয়টা জানেন। এবং সবটা তাদের সম্মতিতেই হচ্ছে।

Pakistan: পাকিস্তানের একটা ভুল চালের অপেক্ষা করছে ভারত, ইসলামাবাদের বাড়বাড়ন্ত কি এবার বন্ধ হবে?
Follow Us:
| Updated on: Jan 09, 2025 | 8:27 PM

নয়া দিল্লি: পাকিস্তান একটা মজার জায়গা। মজার দেশ। দেশটা জঙ্গি তৈরির ‘ফ্যাক্টরি’ চালায়, রফতানি করে সন্ত্রাস। ভারতের বিরুদ্ধে নিত্যনতুন অভিযোগ তোলাও ওই দেশের সরকারের অন্যতম একটা গুরুদায়িত্ব। শুক্রবার পাকিস্তান যে অভিযোগটা তুলেছে, সেটা শুনে বেশ মজা পাবেন।

গত ২ জানুয়ারি পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র দাবি করেছেন, ভারত নাকি পাকিস্তানে ঢুকে, তাঁদের মাটিতে ‘টার্গেট কিলিং’ করছে। মমতাজ জোহরা বালুচ বলেছেন, “ভারত দিনদিন বিপজ্জনক রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে। আমাদের দেশে ঢুকে বেছে, বেছে লোকজনকে খুন করছে। পাকিস্তানে একাধিক খুনের ঘটনায় ভারতের এজেন্সির যোগ রয়েছে। আমাদের হাতে তথ্য- প্রমাণ রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় আমরা তা পেশ করব।” কয়েকদিন আগে নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছে পাকিস্তান। দু-বছরের জন্য সদস্যপদ পেয়েই কি রাষ্ট্রপুঞ্জে এই নিয়ে সরব হবেন শাহবাজ শরিফরা?

যদি সেটাই হয়, ভালই হবে। গত তিন বছরে পাকিস্তানে কারা, কারা রহস্যজনক ভাবে খুন হয়েছেন, সেটা পাকিস্তানকে জানাতে হবে। তা হলেই খেলা ঘুরে যাবে। পাকিস্তানে সেই নামগুলো জানালেই বোঝা যাবে, যাদের কথা বলা হচ্ছে, তাঁরা প্রত্যেকে মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্ট। অন্তত ৫-৬ জনের নাম তো রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকাতেই রয়েছে।

এখন প্রশ্ন হল, এই ভুল কিছুতেই পাকিস্তান করবে না। পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র দাবি করেছেন, পাকিস্তানে ঢুকে খুন করায় আফগানদের নিয়োগ করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা। দুবাইতে বসে প্ল্যান হচ্ছে আর সুপারির টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। এটাও মজার বিষয়, কয়েক দশক ধরে এই হাওয়ালা রুট ব্যবহার করেই ভারতে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তান।

পাক সংবাদপত্র ‘দ্য ডন’ ও ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ ভারতের টার্গেট কিলিং নিয়ে নিয়মিত খবর করছে। দুটো সংবাদপত্রই একটা বিষয়ে একমত। ভারতের শীর্ষকর্তারা পুরো বিষয়টা জানেন। এবং সবটা তাদের সম্মতিতেই হচ্ছে। ‘দ্য ডনে’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে ঢুকে নিকেশ করতে আফগানদের ভাড়া করার বুদ্ধিটা তারিফ করার মতো। প্রতিবেদক লিখেছেন, আফগানরা বোধহয় টাকা না পেলেও কাজটা করতে আপত্তি করত না। ওরা এখন ভারতের থেকেও অনেক বেশি পাকিস্তান বিরোধী।

তবে পাকিস্তানের এই সব বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে করতে অনেক রাস্তা আছে ভারতের হাতে। সিন্ধু জলচুক্তির কথা নিশ্চয় পাক প্রশাসন ভুলে যায়নি। গত বছর সেপ্টেম্বরে চুক্তির রিভিউ চেয়ে পাকিস্তানকে ফর্মাল নোটিশ পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। তাতেই পাকিস্তানের বড় অংশে জলের জোগান নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।