‘নিয়ম’ বোঝাতে আইন ভাঙলেন রক্ষক, বোলপুরের চৌরাস্তায় পুলিশকর্মীদের জমায়েত, নীরব প্রশাসন!
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাত্রে বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ে হাজির হন প্রশাসনিক অধিকর্তারা। সচেতনতার বার্তা দিতে পুলিশ কর্মী, পৌরকর্মী-সহ প্রায় একশো জন মানুষের জমায়েত দেখা যায়। তারমধ্যেই এক পুলিশকর্তা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো জরুরি বিষয়ে বক্তব্য় রাখতে শুরু করেন।
বীরভূম: আইনের রক্ষকই যখন ভঙ্গকারী! বেলাগাম করোনা (Corona) সংক্রমণ রুখতে যখন রাজ্যজুড়ে জারি লকডাউন, কড়াকড়ি আনা হয়েছে কোভিডবিধিতে, তখন আজব কীর্তি করলেন প্রশাসনিক কর্তারা। আমজনতাকে নিয়ম বোঝাতে খোদ নিজেরাই করলেন জমায়েত! বোলপুর (Bolpur) শহরের এই ছবি রীতিমতো চর্চায়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শনিবার রাত্রে বোলপুর চৌরাস্তা মোড়ে হাজির হন প্রশাসনিক অধিকর্তারা। সচেতনতার বার্তা দিতে পুলিশ কর্মী, পৌরকর্মী-সহ প্রায় একশো জন মানুষের জমায়েত দেখা যায়। তারমধ্যেই এক পুলিশকর্তা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার মতো জরুরি বিষয়ে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, উপস্থিত ছিলেন বোলপুর থানার আই.সি সুমন্ত বিশ্বাস, বোলপুর মহকুমা শাসক মানস হালদার ও বোলপুর পৌরসভার প্রশাসনিক প্রধান পর্ণা ঘোষ। কিন্তু সকলেই নীরব! প্রশাসনিক কর্তারা জেনে বুঝে এভাবে নিয়ম ভাঙলেন নাকি তাঁরা এ বিষয়টি নিয়ে ভাবেনইনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। এমনকী, তাঁদের দাবি, প্রশাসনিক কর্তা হয়ে তাঁরা যদি এভাবে নিয়মভঙ্গ করেন, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে! এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, মুখে কুলুপ আঁটেন বোলপুর (Bolpur) এসডিও মানস হালদার। অন্যদিকে, ‘টাফ’ বলে পরিচিত বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আপনাদের কাছে ছবি থাকলে ছবি দেখান। ছবি দেখে তারপর বলব।”
উল্লেখ্য়, শনিবারের বুলেটিনে দেখা যাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৮৬৩ জন। এই একই সময় সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ২০২ জন। যদিও মৃত্যুর হার প্রায় একই রয়েছে। সেখানে কোনও স্বস্তি নেই। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৫৯। আজ তা সামান্য কমে হয়েছে ১৫৪ । সুস্থতার হারও কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮৮.৩২ শতাংশ। বর্তমানে রাজ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৮৮। পজিটিভিটির হার বর্তমানে ২৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাটকে দেখতে হাসপাতালে হাজির শুভেন্দু, কথা বললেন থানাতেও