AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাটকে দেখতে হাসপাতালে হাজির শুভেন্দু, কথা বললেন থানাতেও

প্রসঙ্গত, শুক্রবার, ঘাটালের তিন নম্বর অঞ্চলের দলীয় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক শীতল কপাট। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাটকে দেখতে হাসপাতালে হাজির শুভেন্দু, কথা বললেন থানাতেও
হাসপাতালে শুভেন্দু, নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 23, 2021 | 11:05 AM
Share

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোট মিটলেও অব্যাহত সন্ত্রাস। সেই সন্ত্রাসের জেরেই আক্রান্ত হয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শীতল কাপাট। শনিবার তাঁকে দেখতেই ঘাটাল হাসপাতালে এলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এদিন, ঘাটাল থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)।

শনিবার হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু সোজা চলে যান থানায়। সেখান থেকে বেরিয়ে বলেন, “ভোটের পর ঘাটাল-সহ বিভিন্ন এলাকায়  অশান্তির খবর পেয়েছি। আমাদের দলেক অনেক কর্মী আহত হয়েছে। বিধায়কও আহত। তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হলেও তাঁর গায়ে বোমা লাগেনি। কিন্তু বোমার (Bomb) স্প্রিংটারের কয়েকটি টুকরো তাঁর গায়ে-হাতে লাগে। আপাতত তিনি বিপদমুক্ত। আমি এখানকার থানায় কথা বলেছি। কোনও বিধায়ক বা কর্মী আক্রান্ত হলে তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের।সেই কথাই বলেছি। পুলিশ যেন সঠিক অভিযুক্তদেরই গ্রেফতার করে।” এদিন, নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, “ঘাটালের কিছু এলাকা দুষ্কৃতীদের আওতায় চলে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো আমাদের দলই ব্যবস্থা নেবে।”

যদিও তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কোভিডবিধি না মেনে বাড়ি বাড়ি ঘুরছিলেন আহত বিধায়ক। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যদিও বলেন, “কোভিডবিধি (COVID protocol) মেনেই বিধায়ক এলাকায় গিয়েছেন। আর কোভিডবিধি মানা মানে কী, কেউ কারো বাড়িতেই যেতে পারবেন না! আর লকডাউন উঠলে বাকি সব দেখা যাবে। আমরা মানুষের জন্য কাজ করি। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই। তাই কারোর বাড়ি আগুন লাগলে আগে গিয়ে আগুন নেভাব। কোভিডের কথা পরে ভাবব।” এদিন, তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইকেও বিদ্রুপ করেন শুভেন্দু। তাঁর গলায় ফের ভেসে ওঠে ‘ভূমিপুত্রের’ দাপট। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, “এসব আমার এলাকা। আমার হাতের তালুর মতো চেনা। আমায় ওসব বলে লাভ নেই। আমি অনেক পুরনো খেলোয়াড়। এখানে যখন গর্তে ঢুকে লুকিয়ে ছিল লোকসভা ভোটের সময়, তখন টেনে আমিই বাইরে বের করে এনেছিলাম। তাই আমায় এসব বলে লাভ নেই।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার, ঘাটালের তিন নম্বর অঞ্চলের দলীয় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের দেখতে যান স্থানীয় বিধায়ক শীতল কাপাট। তখন তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: ‘আপনাকে ছাড়া বাঁচব না দিদি’, টিকিট না পেয়ে কেঁদে ভাসানো সোনালির কাতর আবেদন টুইটে