AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মাস্ক খুলে, খালি গায়ে রাস্তায় ঘুরপাক খাচ্ছিল করোনা রোগী, হাসপাতালে ধরে আনল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা!

জলপাইগুড়ি পুলিশ আধিকারিক অসীম সাহা বলেন, "ওই রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন। শনিবার বিকেলে সে একবার পালিয়েছিল। আমরা উদ্ধার করে আনি। তারপরেই ফের ওই রোগী পালিয়ে যায়। তখন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসে তাকে উদ্ধার করে। কেন বারবার এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

মাস্ক খুলে, খালি গায়ে রাস্তায় ঘুরপাক খাচ্ছিল করোনা রোগী, হাসপাতালে ধরে আনল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা!
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 30, 2021 | 12:19 AM
Share

জলপাইগুড়ি: মাস্ক খুলে, খালি গায়ে হাসপাতালের বাইরের ঘুরপাক খাচ্ছিল এক ব্যক্তি। শনিবার রাতে, জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালের (Jalpaiguri COVID Hospital) বাইরে সেই ব্যক্তিকে ইতিউতি ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা খবর দেন গ্রীন জলপাইগুড়ি নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় (NGO)। খবর পেয়েই ওই ব্যক্তিকে ধরে হাসপাতালে দিয়ে আসেন স্বেচ্ছাসেবকরা। জানা যায়, ওই ব্যক্তি শুধু মানসিক ভারসাম্যহীন নন, করোনা রোগীও বটে। আর এই ঘটনার জেরেই ফের একবার প্রশ্নের মুখে হাসপাতালের নিরাপত্তা।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গ্রীন জলপাইগুড়ির সাধারণ সম্পাদক অঙ্কুর দাস বলেন, “শনিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালের দেওয়াল টপকে এক রোগী পালিয়ে যান। তাঁকে হাসপাতালের আশেপাশে উদভ্রান্তের মতো ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরাই আমাদের খবর দেন। আমরা গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ফের হাসপাতালে দিয়ে আসি। এই নিয়ে চলতি মাসে চারজন রোগী পালাল। যার মধ্যে তিনজনকেই আমরা উদ্ধার করেছি। তাঁরা প্রত্যেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, হাসপাতালে ঠিক করে খাবার দেওয়া হয় না। এমনকী, তাঁদের মারধর পর্যন্ত করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই রোগীরা। এরকম হতে থাকলে মুশকিল। এর যথাযথ তদন্ত দরকার।” অঙ্কুরবাবু আরও বলেন, “স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। হাসপাতালের মূলদ্বারে পুলিশ প্রহরা বসানো হয়েছে। হাসপাতালের ভেতরেও বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীরা রয়েছেন, তারপরেও কীভাবে রোগী পালিয়ে যাচ্ছেন, তা একটা প্রশ্ন।”

এই ঘটনায়, জলপাইগুড়ি পুলিশ আধিকারিক অসীম সাহা বলেন, “ওই রোগী মানসিক ভারসাম্যহীন। শনিবার বিকেলে সে একবার পালিয়েছিল। আমরা উদ্ধার করে আনি। তারপরেই ফের ওই রোগী পালিয়ে যায়। তখন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এসে তাকে উদ্ধার করে। কেন বারবার এমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ঘন ঘন রোগী পালাবার ঘটনায় জলপাইগুড়ি রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিজয় বর্মন জানান, রোগী এভাবে পালিয়ে গেলে তা বিপদের। কারণ, করোনা রোগী (COVID patient) অন্য়দের সংক্রমিত করতে পারে। চলতি মাসে কেন চারজন রোগী হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলা হবে।

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গে ক্রমশই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। চলতি মাসে, গত ১ তারিখ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। মাত্র একদিনে মারা গিয়েছেন ৮৬ জন। রাজ্য স্বাস্থ্য় দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জলপাইগুড়িতে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮২ জন, সুস্থ হয়েছেন ২০২ জন। রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫১৪। মৃত্যু হয়েছে ১৪৮ জনের।

আরও পড়ুন: ‘মোদী দাদা, মমতা বোন, ওঁদের বৈঠকের অন্তরায় রাজ্য বিজেপি’, বিস্ফোরক তৃণমূল সাংসদ