AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ির ছাদে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, মুখ থেকে বেরচ্ছে সবুজ গ্যাজলা, একান্তবাসী মহিলার মৃত্যু ঘিরে রহস্য!

রিপোর্ট না এলেও কোভিড উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বাড়িতে একান্তবাসেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর স্বামী। কোভিড সংক্রমণের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে ওই এলাকাটিকেই কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, একরকম নির্জনেই ছিলেন মনিকা।

বাড়ির ছাদে পড়ে রয়েছে মৃতদেহ, মুখ থেকে বেরচ্ছে সবুজ গ্যাজলা, একান্তবাসী মহিলার মৃত্যু ঘিরে রহস্য!
ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুরপ্রশাসক, নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 16, 2021 | 12:28 AM
Share

জলপাইগুড়ি: রাজ্যে বেলাগাম করোনা (Corona) সংক্রমণ। আতঙ্ক, মৃত্যুর সঙ্গে চোরাগোপ্তায় এসেছে অবসাদ। করোনা যত না ভয় বাড়িয়েছে তার চেয়েও বেশি বাড়িয়ে দিয়েছে অস্তিত্বের সংকট। যার জেরে ক্রমাগত অবসাদ। সেখান থেকে স্বেচ্ছামৃত্য়ুকেই একমাত্র পথ মনে করছেন মানুষ, এমনটাই মনে করছেন মনোবিজ্ঞানীরা। এ বার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এক মহিলার মৃত্য়ুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল জলপাইগুড়িতে। প্রাথমিকভাবে, যদিও পুলিশের অনুমান, অবসাদের জেরে ‘আত্মঘাতী’ (Suicide) হয়েছেন ওই মহিলা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শহরের ১৫ নং ওয়ার্ডের সার্ফের মোড়ের বাসিন্দা মৃত মনিকা নিয়োগী নামে সাতান্ন বছরের মহিলা কিছুদিন আগে করোনা পরীক্ষা করান। রিপোর্ট না এলেও কোভিড উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বাড়িতে একান্তবাসেই ছিলেন তিনি। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত (COVID19) হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর স্বামী। কোভিড সংক্রমণের উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে ওই এলাকাটিকেই কনটেইনমেন্ট জোন করা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে, একরকম নির্জনেই ছিলেন মনিকা। শনিবার তাঁকে বাড়ির ছাদে  ‘অস্বাভাবিকভাবে’ পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুরপ্রশাসককে খবর দেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন পুরপ্রশাসক সৈকত চট্টোপাধ্যায় ও পুরসভার কর্মীরা।

পৌর প্রশাসক জানিয়েছেন, ছাদে দেখা যায়, একপাশে পড়ে রয়েছে ওই মহিলার মৃতদেহ। সবুজ গ্যাজলা বেরচ্ছে মুখ থেকে। কাছেই পড়ে রয়েছে একটি ফিনাইলের শিশি ও মুড়ি। সৈকতবাবুর প্রাথমিক ধারণা, মৃতা ওই ফিনাইল খেয়েই ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অবসাদ থেকেই ওই মহিলা আত্মহত্যা করে থাকবেন। তবে করোনা আক্রান্ত স্বামী হাসপাতালে ভর্তি থাকার জন্যই কেবল অবসাদে ‘আত্মহত্যা’ করতে পারেন ওই মহিলা এমনটা নাও হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীদের একাংশ। সেক্ষেত্রে মনিকার মৃত্যুর পেছনে অন্য কোনও সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীদের একাংশ। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: খেলতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু একই পরিবারের তিন শিশুর